কুয়াশা ভেদ করে দুরন্ত গতিতে ছুটবে একেকটা বাইসাইকেল। কাকে ফেলে কে আগে যায়, সেই চেষ্টা থাকবে প্রাণান্ত। হালকা–পাতলা গড়নের রোডবাইক থেকে শুরু করে এবড়োখেবড়ো রাস্তায় চলার উপযোগী গাঁট্টাগোট্টা মাউন্টেন বাইক (এমটিবি)—সবই নামবে কাল শুক্রবার ভোরে ঢাকার হাতিরঝিলে। প্রতিযোগিতায় শামিল হতে অন্তত ২০০ নারী–পুরুষ, কিশোর–তরুণ নাম লিখিয়েছেন।
পাঁচটি ইভেন্ট থাকছে এবারের প্রতিযোগিতায়, জানালেন ঢাকা ম্যাক্স–২০২৩–এর রেস ডিরেক্টর সাজনান মোহাম্মদ। রোডবাইক দলীয় টাইম ট্রায়াল, রোডবাইক একক টাইম ট্রায়াল, এমটিবি (পুরুষ), এমটিবি একক টাইম ট্রায়াল (নারী), এমটিবি একক টাইম ট্রায়াল (জুনিয়র)—এই পাঁচটি ইভেন্টের জন্য ইতিমধ্যে নিবন্ধন হয়ে গেছে।
সব বয়সী মানুষকে পরিবেশবান্ধব বাহন সাইকেল ব্যবহারে উৎসাহ দিতেই আয়োজন। ভালো রেসার তৈরিও তাদের আরেকটি উদ্দেশ্য, জানালেন সাজনান।
ঢাকা ম্যাক্স-২০২৩ প্রতিযোগিতাটি রেস বাংলাদেশের ষষ্ঠ আয়োজন। এর আগে ২০১৬ সালে ঢাকার আমুলিয়ায় মাউন্টেন বাইক চ্যাম্পিয়নশিপ, ২০১৮ সালে হালদা ভ্যালিতে জায়ান্ট পেড্রোলো মাউন্টেন বাইক চ্যাম্পিয়নশিপ, ২০২০–এ কুমিল্লা মাউন্টেন বাইক চ্যাম্পিয়নশিপ, ২০২১–এ মৌলভীবাজার মাউন্টেন বাইক চ্যাম্পিয়নশিপ ও চট্টগ্রাম মাউন্টেন বাইক চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করে রেস বাংলাদেশ।
প্রতিযোগিতায় সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ সাইক্লিং ফেডারেশন, বিডিসাইক্লিস্টস ও প্রথম আলো। ভোর ছয়টা থেকে প্রতিযোগিতা শুরু হবে। তত্ত্বাবধানে থাকবে স্বেচ্ছাসেবকদের একটি দল, যাঁদের প্রায় সবাই সাইক্লিস্ট।
খানিকটা হতাশা আফসোসের কথাও জানালেন সাজনান। বললেন, ‘আমরা রেস বাংলাদেশ সব সময়ই চেষ্টা করে এসেছি দেশের সাইক্লিস্টদের ভালো ভালো রেস উপহার দেওয়ার। পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে রেস আয়োজন করা দিন দিন কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। কয়েক বছর ধরে রেস হচ্ছে না বললেই চলে, যেটা আমাদের জন্য বেশ হতাশাজনক। এরপরও আমরা নিজ অবস্থান থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি। দেশকে ভালো কিছু উপহার দিতে আমরা আশাবাদী।’