গেন্ডারিয়ায় দগ্ধ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদি মারা গেছেন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা বাজার এলাকায় গ্যাসলাইনের ‘লিকেজ’ থেকে বিস্ফোরণ-আগুনে দগ্ধ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদি হাসান মারা গেছেন। আজ শনিবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক এস এম আইয়ুব হোসেন। তিনি বলেন, ‘মেহেদীর শরীরের ৩০ ভাগ পুড়ে যায়। আজ তিনি সকাল সোয়া ছয়টার সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।’ মেহেদির গ্রামের বাড়ি নাটোর সদর উপজেলার রাহিমনপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আবদুল লতিফ।

মেহেদির বন্ধু হাসান আলী প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ধূপখোলা এলাকাতেই থাকেন। মেহেদি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন। মেহেদি বাজার করতে গিয়ে এ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন।

১ মে গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা বাজার এলাকায় গ্যাসলাইনের ‘লিকেজ’ থেকে বিস্ফোরণ-আগুনে শিশুসহ নয়জন দগ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে ছয়জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। বাকি তিনজনকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে।

মেহেদি হাসান ছাড়া অন্য দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন—মো. সোহেল (৪৮), আলী হোসেন (৫২), রাশেদ মিয়া (৩২), সাহারা বেগম (৬৫), মিজানুর রহমান (৩২), আবদুর রহিম (৫০), তাঁর মেয়ে মিম আক্তার (২১) ও মিমের ছেলে মো. আলিফ (২)।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন মিম আক্তারের ভাষ্য, ধূপখোলা বাজার এলাকায় রাস্তার পাশে ওয়াসার পানির লাইনের খননকাজ চলছিল। সেখানে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। রাস্তার পাশেই তাঁদের দোকান ও বাসায় এই বিস্ফোরণ থেকে সৃষ্ট আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে তিনিসহ তাঁর পরিবারের তিনজন দগ্ধ হন।

গেন্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ওয়াসার লাইনের খননকাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। একপর্যায়ে গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ও আগুন ধরে যায়। এতে কয়েকজন দগ্ধ হয়েছেন।

তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ধূপখোলা বাজারে ওয়াসার ঠিকাদারের পানির পাইপ স্থাপনের সময় তিতাস গ্যাসের পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিতাস গ্যাসের জরুরি দল ক্ষতিগ্রস্ত পাইপলাইন মেরামতের কাজ করেছে।