ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমান। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সংবাদ সম্মেলনে
ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমান। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সংবাদ সম্মেলনে

২১ ফেব্রুয়ারি ঘিরে কোনো নিরাপত্তাঝুঁকির তথ্য নেই: ডিএমপি কমিশনার

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও মহান শহীদ দিবস ঘিরে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের নিরাপত্তাঝুঁকির তথ্য নেই। এই মুহূর্তে জঙ্গি-হুমকিরও সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। তারপরও পুলিশ সব বিষয় মাথায় রেখে নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় থাকবে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা।

২১ ফেব্রুয়ারি সামনে রেখে আজ সোমবার বেলা সোয়া ১১টার পর রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন।

হাবিবুর রহমান বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহর থেকে ঢাকা শহরের সব পথ এসে মিশবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, ঢাকায় নিযুক্ত কূটনৈতিকের এখানে আসবেন। সর্বস্তরের সাধারণ মানুষও এখানে আসবেন। তাঁরা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। এ জন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা-পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শহীদ মিনারের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় থাকবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর সঙ্গে নিরাপত্তা-সমন্বয়ে ডিএমপির পক্ষ থেকে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাঁদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের নিরাপত্তাঝুঁকির তথ্য নেই। তারপরও পুলিশ সব ধরনের বিষয় বিশ্লেষণ করে নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

ডিএমপির কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশ ঘিরে নিরাপত্তাবলয় তৈরি করা হয়েছে। এখানে অন্তবেষ্টনী, মধ্যবেষ্টনী ও বহির্বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। প্রথম দিকে যাঁরা এখানে আসবেন, তাঁদের বিভিন্ন ধরনের সুইপিংয়ের মধ্য দিয়ে আসতে হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। বম্ব ডিসপোজাল টিম, সোয়াত টিম, ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিমসহ অন্যান্য সহযোগী ইউনিটগুলো নির্দিষ্ট দূরত্বে প্রস্তুত অবস্থায় থাকবে। শহীদ মিনারের সামনে সার্বক্ষণিক তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে। এ ছাড়া থাকবে বিভিন্ন ধরনের প্যাট্রোলিংয়ের (ড্রোন, মোবাইল, সাইবার ইত্যাদি) ব্যবস্থা।

একুশে ফেব্রুয়ারি ঘিরে যানজট নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানান হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, কিছু কিছু জায়গা নিয়ন্ত্রিত থাকবে। কোন কোন দিক দিয়ে গাড়ি ঢুকতে পারবে, তা লিখিতভাবে জানিয়ে দেবেন তাঁরা। পলাশী মোড় দিয়ে শহীদ মিনারে আসার পথ রাখা হয়েছে। বের হওয়ার পথগুলোও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। শহীদ মিনারে যাঁরা আসবেন, তাঁদের প্রতি পুলিশের অনুরোধ, তাঁরা যেন শৃঙ্খলা মেনে, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রেখে এখানে আসেন। সবাই যেন সহনশীল আচরণ করেন। কারও আচরণে যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হন। যাতে যানজট তৈরি না হয়।

জঙ্গিবাদের ঝুঁকিবিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে হাবিবুর রহমান বলেন, এই মুহূর্তে জঙ্গি হুমকির সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। তারপরও পুলিশ সব হুমকিকে মাথায় রেখে নিরাপত্তার পরিকল্পনা করে থাকে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. মাকসুদুর রহমান ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।