রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে আগুনে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ২৭ জনের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। আজ শুক্রবার সকালে হাসপাতাল সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
আগুনের ঘটনায় অন্তত ৪৩ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ভবনটিতে আগুন লাগে। আগুনের হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, ঘটনাস্থল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৪ জনের লাশ নেওয়া হয়। আর একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এখানে এখন পর্যন্ত ২৭ জনের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। শনাক্ত লাশের অধিকাংশই হস্তান্তর করা হয়েছে। যে লাশগুলো এখনো শনাক্ত করা যায়নি, সেগুলো কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।
আগুনে নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর শুরু হয় সকাল ছয়টার দিকে। লাশ হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় যুক্ত রয়েছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
গতকাল রাতে বেইলি রোডের যে ভবনে আগুন লাগে, সেটি সাততলা। ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের খাবারের দোকান রয়েছে। তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতে রয়েছে খাবারের দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে খাবারের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় হয়। অনেকেই পরিবার নিয়ে সেখানে খেতে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভবনটি প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগার পর তা ওপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পাশাপাশি ক্রেনের সাহায্যে ভবনের সপ্তম তলা ও ছাদে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের নামিয়ে আনতে থাকেন তাঁরা। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।