বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয় পান্তা-ইলিশ-ভর্তা দিয়ে। আজ রোববার সকালে নগর ভবন প্রাঙ্গণে
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয় পান্তা-ইলিশ-ভর্তা দিয়ে। আজ রোববার সকালে নগর ভবন প্রাঙ্গণে

বাঙালি জাতি আলোর দিশারি: বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে মেয়র তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ রাতের বেলা ১২টা ১ মিনিটে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। আমরাই একমাত্র জাতি যারা নতুন সূর্যোদয়কে বরণের মাধ্যমে বর্ষবরণ করে থাকি। সুতরাং বাঙালি জাতি বিশ্ববাসীকে আলোর পথ দেখায়। বাঙালি জাতি আলোর দিশারি।’

আজ রোববার সকালে নগর ভবন প্রাঙ্গণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে আয়োজিত বর্ষবরণ উৎসবে মেয়র এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে মেয়র তাপস আরও বলেন, ‘জাতির পিতার লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববাসীকে আলোর পথ দেখাতে চান। একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে তিনি এ দেশকে একটি উন্নত বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। তাঁর সে অগ্রযাত্রাকে সমুন্নত করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা সবাই এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, পয়লা বৈশাখ বাঙালির সর্বজনীন উৎসবসমূহের মধ্যে অন্যতম। এই উৎসব অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিনির্মাণের অন্যতম ভিত্তি। অথচ সাম্প্রদায়িক শক্তি একসময় এই উৎসবকে বানচাল করার পাঁয়তারা করেছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আবারও এই উৎসবকে বাঙালির ঘরে ঘরে ছড়িয়ে দিয়েছে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ, ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আওলাদ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, দক্ষিণ সিটির কাউন্সিলর ও তাঁদের পরিবারের সদস্যসহ করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সংগীতশিল্পী এস ডি রুবেল সংগীত এবং করপোরেশনের সংগীত শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন।

অনুষ্ঠানে অতিথিদের পান্তা-ইলিশ-ভর্তা দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।