পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম আজ সোমবার বিকেলে এই আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোয়াজ্জেম হোসেনের আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম।
রিমান্ড শেষে মোয়াজ্জেম হোসেনকে আজ আদালতে হাজির করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। তাঁকে কারাগারে আটক রাখার জন্য আদালতে ডিবি আবেদন করে। অন্যদিকে, মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তাঁর আইনজীবীরা।
মোয়াজ্জেম হোসেনের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার আদালতে বলেন, তাঁর মক্কেল (মোয়াজ্জেম হোসেন) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। তাঁর একটি কিডনি নেই। পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাঁকে আদালতে আনা হয়েছে। আদালতের হাজতখানায় তিনি মোয়াজ্জেম হোসেনের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা শোচনীয়। এসব বিবেচনায় তাঁকে জামিন দেওয়া হোক।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষ মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিনের আবেদন নাকচ করে তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়।
উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত মোয়াজ্জেম হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তাঁকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় গত ৩১ অক্টোবর শাহজাহানপুরের একটি বাসা থেকে মোয়াজ্জেম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। এই মামলায় ১ নভেম্বর মোয়াজ্জেম হোসেনকে আদালতে হাজির করে ডিবি ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। তাঁরা পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দলটির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।