ঈদের আগের দিন আজ রোববার রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীর চাপ তুলনামূলক কম। তবে একটি ট্রেনের ছাদে চেপেও যাত্রীরা গেছে। আর দুই ট্রেন আধা ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে। আর একটি ট্রেন ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট পরও ছাড়েনি; দেরিতে ছেড়েছে।
আজ সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রেলস্টেশনের এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
আধা ঘণ্টার মতো দেরিতে ছেড়ে যাওয়া ট্রেন দুটি হলো পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ও খুলনাগামী নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস। এর মধ্যে একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদে চেপেও যাত্রীরা গেছে। আর রাজশাহী কমিউটার ট্রেনটি বেলা দেড়টার সময়ও ছেড়ে যায়নি। এটি ছাড়ার কথা ছিল ১২টা ২০ মিনিটে।
সরেজমিন দেখা যায়, কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীর চাপ তুলনামূলক কম। ট্রেনগুলোও স্বাভাবিক যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে।
দেখা যায়, ময়মনসিংহগামী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেন সাড়ে ১১টায় ছেড়ে যায়। ট্রেনটি এ সময়েই ছাড়ার কথা ছিল। এই ট্রেনের যাত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. আল মুজাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ট্রেন সঠিক সময়ে ছেড়ে গেল। ট্রেনের ভেতরেও যাত্রীর বাড়তি চাপ নেই।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ঈদ উপলক্ষে ইতিমধ্যে অনেক মানুষ রাজধানী শহর ছেড়ে গেছে। ফলে ঈদের আগের দিন ট্রেনে চাপ কিছুটা কম।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার প্রথম আলোকে বলেন, সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৭টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে দুটি ট্রেন অল্প একটু দেরিতে ছেড়েছে। এর মধ্যে একটি ট্রেনের ছাদে কিছু লোক গেছে। বাকি ট্রেনগুলো যথাসময়ে ও অতিরিক্ত চাপ ছাড়াই গেছে।