ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কুড়িল টোল প্লাজায় সেখানকার কর্মীদের ওপর একটি ট্রাকের যাত্রীদের চড়াও হওয়ার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘটনাটি আজ বুধবার সকাল পৌনে ১০টার দিকের।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ছোট ট্রাকভর্তি মানুষ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠছিলেন। কুড়িল টোল প্লাজায় ব্যারিকেড ফেলে গাড়িটিকে আটকে দেওয়া হয়। এ সময় পাঁচ-সাত ব্যক্তি ট্রাক থেকে নেমে এসে টোল প্লাজায় কর্তব্যরত কর্মীদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। তারা টোল প্লাজার কর্মীদের ধাক্কা দেন এবং ব্যারিকেড দণ্ডটি ভেঙে ফেলেন। একপর্যায়ে তারা ট্রাকে চড়ে এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চলে যান।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ব্যবস্থাপক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন হাসিব হাসান খান রাতে প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণত ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত মানুষ ট্রাকে দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করলে বা ট্রাকভর্তি পণ্য ও মালামাল শক্তভাবে বাঁধা না থাকলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে দেওয়া হয় না। আলোচিত ছোট ট্রাকটির পেছনে ১০-১৫ জন মানুষ দাঁড়িয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার চেষ্টা করেন। এ সময় সেখানের টোল প্লাজার কর্মচারীরা বলেন, এভাবে দাঁড়িয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠা যাবে না। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কয়েকজন ব্যক্তি ওই ট্রাক থেকে নেমে এসে কর্মীদের ধাক্কা দেন। তাঁরা বলেন, কর দিয়ে গাড়ি চালাব, ‘বাধা দেবে কে?’। ওই ব্যক্তিরা উত্তেজনা দেখালে টোল আদায়কারী ব্যক্তি কাউন্টারের গ্লাস লাগিয়ে দেন। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তিরা ব্যারিকেড দণ্ডটি সরিয়ে ট্রাকে চড়েন এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠে চলে যান।
হাসিব হাসান বলেন, ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত মানুষ ট্রাকে চড়তে দেওয়া হয় না। কারণ, চলন্ত অবস্থায় যে কোনো কেউ ট্রাক থেকে পড়ে গেলে পেছন থাকা গাড়ির নিচে চাপা পড়ে হতাহত হতে পারেন। এ ছাড়া ট্রাকভর্তি পণ্য শক্তভাবে বাঁধা না থাকলে তা রাস্তায় পড়ে গেলে পেছন থেকে আসা যানবাহনের নিচে চাপা পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।