ঢাকা উত্তর সিটি

সংরক্ষিত কবরে আবার দাফনে ১০-২০ হাজার টাকা খরচ বাড়ল

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) লোগো
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) লোগো

ঢাকা উত্তর সিটিতে সংরক্ষিত কবরে কাউকে আবার কবর দিতে খরচ বেড়েছে। বনানী কবরস্থানে খরচ বেড়েছে ২০ হাজার টাকা। আর উত্তর সিটির অন্য কবরস্থানে এই খরচ বেড়েছে ১০ হাজার টাকা।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কর্তৃপক্ষ গত সোমবার এক নোটিশে এই খরচ বাড়ানোর কথা জানিয়েছে।

বনানী কবরস্থানে সংরক্ষিত কবরে আবার কাউকে কবর দিতে হলে এখন ৫০ হাজার টাকা ফি দিতে হবে। আগে দিতে হতো ৩০ হাজার টাকা। আর ঢাকা উত্তরের (ডিএনসিসি) আওতাধীন বাকি পাঁচটি কবরস্থানে (উত্তরা-৪, ১২ ও ১৪ সেক্টর কবরস্থান, মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী ও রায়ের বাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধসংলগ্ন কবরস্থান) ফি দিতে হবে ৩০ হাজার টাকা। আগে দিতে হতো ২০ হাজার টাকা।

কর্মকর্তারা বলছেন, ডিএনসিসির আওতাধীন কবরস্থানে শুধু আবার কবর দেওয়ার নিবন্ধন ফি বাড়ানো হয়েছে। ডিএনসিসির ১৪তম করপোরেশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ডিএনসিসির কবরস্থানে সাধারণ কবর দিতে নিবন্ধন ফি আগের মতো ৫০০ টাকা রয়েছে। আর দুস্থ, অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষের ক্ষেত্রে এই ফি ১০০ টাকা রাখার ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের আওতাধীন তিনটি কবরস্থানে সংরক্ষিত কবরে আবার কবর দিতে নিবন্ধন ফি বাড়েনি। আগের মতো ৫০ হাজার টাকাই রয়েছে। তিনি আরও বলেন, সাধারণ কবরের ক্ষেত্রে দক্ষিণ সিটিতে এই নিবন্ধন ফি ১ হাজার ১০০ টাকা।

ঢাকা উত্তর সিটির ছয়টি কবরস্থানের মধ্যে দুটি কবরস্থানে কবর সংরক্ষণ করতে চাইলে মোটা অঙ্কের টাকা লাগে। সংস্থাটির সমাজকল্যাণ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টর কবরস্থান ও বনানী কবরস্থানে ১৫ বছরের জন্য কবর সংরক্ষণ করতে চাইলে ২৪ লাখ টাকা এবং ২৫ বছরের জন্য ৪৫ লাখ টাকা খরচ পড়বে। বর্তমানে এই দুটি কবরস্থানে কবর সংরক্ষণের জায়গা খুব সীমিত।

আর উত্তর সিটির বাকি ৪টি কবরস্থানে কবর সংরক্ষণ করতে চাইলে ১৫ বছরের জন্য ৬ লাখ এবং ২৫ বছরের জন্য ১১ লাখ টাকা খরচ হয়।

ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন মুঠোফোনে বলেন, কবর সংরক্ষণের ফি বাড়ানো হবে কি না, তা নিয়ে ফি নির্ধারণসংক্রান্ত কমিটি আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেবে।

দুই যুগ আগেও ১৯৯৬ সালে বনানী ও উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর কবরস্থানে স্থায়ীভাবে কবরের জন্য জায়গা কিনতে খরচ হতো ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। আর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জায়গা কেনা যেত ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকায়। ২০০৫ সালের আগপর্যন্ত টাকার পরিমাণ একই ছিল।

২০০৫ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত কবরের জন্য স্থায়ী জায়গা কেনা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০০৮ সাল থেকে বিভিন্ন মেয়াদে কবর সংরক্ষণের ব্যবস্থা চালু হয়। এ ব্যবস্থাই এখনো চলছে।