সিআইডির অনুসন্ধান

রাজউকের কর্মকর্তা সেজে প্লট বিক্রির নামে দেড় কোটি টাকা নিয়েছেন তিনি

সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার প্রতারক তৈয়বুর রহমান
ছবি: সংগৃহীত

জালিয়াতির মাধ্যমে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং ব্যাংকের জাল কাগজপত্র তৈরি করে প্লট বিক্রির নামে অর্থ আত্মসাৎ করছিল চক্রটি। এই চক্রের একজন নিজেকে রাজউকের উপপরিচালক (ডিডি) পরিচয়ও দিয়ে আসছিলেন।

গতকাল শনিবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বাগবেড় এলাকা থেকে এ চক্রের তৈয়বুর রহমান সনু (৫৮) নামের ওই প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পুলিশ এখন চক্রটির সদস্য নারায়ণগঞ্জের মো. এরশাদ মিয়া আরশাদ (৪৫), জয়নাল আবেদীন মোক্তারসহ (৫০) আরও ২০-২৫ জনকে খুঁজছে।

সিআইডির ঢাকা মেট্রো উত্তরের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম অভিযানের নেতৃত্ব দেন। তিনি জানান, তৈয়বুর নিজেকে রাজউকের ডিডি (ডিডি হাবীবুর রহমান) হিসেবে পরিচয় দিতেন। এর বাইরে নিজেকে পূর্বাচলের প্লট বরাদ্দ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দিতেন তিনি।

সিআইডি জানায়, গত বছরের জানুয়ারিতে একটি জাতীয় দৈনিকে পূর্বাচলে প্লট বিক্রির বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মো. আখতারুজ্জামান (৪৭)Ñনামের এক ব্যক্তিকে প্রলুব্ধ করা হয়। তিনি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা ফোন নম্বরে যোগাযোগ করলে এরশাদ নামের একজন তা রিসিভ করেন। দুটি প্লট বিক্রি হবে বলে আখতারুজ্জামানকে বলেন তিনি। পরে এই চক্রের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে আখতারুজ্জামান রাজউকে যান। সেখানে ডিডি হাবীবুর রহমান হাবীবের নাম লেখা দেখে আশ্বস্ত হন।

এরপর তৈয়বুর তাঁর সহযোগী আরশাদসহ চক্রের অন্য সদস্যদের সহায়তায় ভুক্তভোগীর কাছে প্লট বিক্রির নামে দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। টাকা হাতিয়ে তৈয়বুর ভুক্তভোগীকে আশ্বস্ত করেন যে দু-তিন মাসের মধ্যে তিনি প্লটের অনলাইন কোড পাবেন। আরও পাঁচ মাস পর তাঁকে প্লটের ‘বরাদ্দপত্র’ দেওয়া হয়। রাজউকে বরাদ্দপত্র যাচাই করতে গিয়ে ভুক্তভোগী বুঝতে পারেন, তাঁকে দেওয়া কাগজপত্র জাল। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. আখতারুজ্জামান খিলক্ষেত থানায় মামলা করেন। সিআইডি ঘটনার তদন্ত করে সত্যতা পায়। গ্রেপ্তার করা হয় তৈয়বুরকে।

আসামিরা একইভাবে আরও বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানায় সিআইডি।