নাটক বন্ধ করা প্রগতিশীল সংস্কৃতিচর্চার জন্য সহায়ক নয়: উদীচী

প্রদর্শনীর মাঝপথে নাটক বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। সংগঠনটি মনে করে, এ ঘটনা প্রগতিশীল সংস্কৃতিচর্চার জন্য সহায়ক নয়। এ ধরনের কাজ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পথে বাধা।

গতকাল শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে প্রদর্শনীর মাঝখানে একটি নাটক বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার উদীচী এক বিবৃতিতে এ কথা বলে।

উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে এক বিবৃতিতে বলেন, তাঁরা মনে করেন, এ ঘটনার মাধ্যমে দেশে সংস্কৃতিচর্চার পরিবেশকে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে।

গতকাল সন্ধ্যায় নাট্যদল দেশ নাটকের ‘নিত্যপুরাণ’ নাটকের প্রদর্শনী চলছিল শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায়। প্রদর্শনী শুরু হওয়ার পর একাডেমির গেটের বাইরে একদল মানুষ বিক্ষোভ শুরু করে। তারা দেশ নাটকের অধিকর্তা এহসান আজিজ বাবুর বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। এ পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় মাঝপথে নাটকের প্রদর্শনী বন্ধের নির্দেশ দেন শিল্পকলার মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ।

এ ঘটনা নিয়ে উদীচীর বিবৃতিতে বলা হয়, কেউ দোষী হলে বা অন্যায় করলে দেশের প্রচলিত আইনের মাধ্যমে তাঁর বিচার হবে। শিল্পকলায় কারা, কেন বিক্ষোভ করেছে? তাদের পরিচয় কী? সেখানে মুখোশধারী কেউ ঢুকে পরিস্থিতির ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে কি না, শিল্পকলার ভেতরের কেউ এর সঙ্গে জড়িত কি না, এসব বিষয় খতিয়ে দেখে দ্রুত তদন্ত করতে হবে।

গণ-অভ্যুত্থানে ‘স্বৈরাচারী’ সরকারের পতনের পর বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা মানুষের প্রত্যাশা জানিয়ে উদীচীর বিবৃতিতে বলা হয়, যাঁরা আন্দোলনে হতাহত হয়েছেন তাঁদেরও লক্ষ্য ছিল বাক্‌স্বাধীনতা ও মুক্তমত চর্চার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা। কিন্তু বিজয়ের পর থেকে কোনো কোনো গোষ্ঠী অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অপচেষ্টা করছে। তারা প্রগতিবিরোধী, তারা মানুষের মুক্তির বিরোধী।

দেশে সংস্কৃতিচর্চার অবাধ পরিবেশ নিশ্চিতের দাবি তুলে সবাইকে অন্যায়ের প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে উদীচী।