মাপে তেল কম দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর কল্যাণপুরে ডিপোর সামনে অবস্থান করছেন এক যুবক। তাঁর নাম শেখ ইসতিয়াক আহমেদ। তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা।
ইসতিয়াক জানান, তাঁর বাসা শ্যামলীর আদাবরে। সেখান থেকে সকাল ১০টার দিকে মিরপুরের বিআরটিএ কার্যালয়ে যাওয়ার পথে ৪ নম্বর দক্ষিণ কল্যাণপুরের সোহরাব সার্ভিস স্টেশন থেকে ৫০০ টাকার অকটেন নেন।
ইসতিয়াকের অভিযোগ, সামনে মিটার থাকলেও তেল সরবরাহকারী আকাশ তাঁকে পিছে আসতে বলেন। এতে তিনি গাছের আড়ালে পড়লে তাঁকে তেল দেওয়া হয়। তিনি বুঝতে পারেন, তাঁকে তেল দিতে কারসাজি করা হয়েছে। ৫০০ টাকার ভাউচার পেলেও তেল পাননি।
ইশতিয়াক জানান, তাঁর মোটরসাইকেলে রিজার্ভেও তেল ছিল না। তাই তিনি ডিপো কর্তৃপক্ষকে মোটরসাইকেল থেকে তেল বের করে মাপার কথা বলেন। কিন্তু তারা তাঁর দাবিকে পাত্তা দেয়নি। এরপর বেলা ১১টা থেকে ‘সঠিক পরিমাণে তেল চাই’ প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান করছেন। বেলা দুইটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি সেখানে অবস্থান করছিলেন।
সোহরাব সার্ভিস স্টেশনের ম্যানেজার বেলায়েত হোসেন প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, তাঁরা তিন মাস থেকে ডিপো চালাচ্ছেন। ফলে ডিপোর পুরোনা কর্মচারীরা রয়ে গেছেন। তাঁদের একজন এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
তবে ইসতিয়াক প্রথম আলোকে বলেন, তিনি সেখানে অবস্থান নিলে ডিপোর দুই–একজন লোক এসে তাঁর বাইকের ট্যাংকি ভরে তেল দেওয়ার প্রলোভন দেখান। কিন্তু তিনি সেটা চান না। তাঁর দাবি, দীর্ঘদিনের এই অনিয়ম বন্ধ হোক। ইসতিয়াক ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কাছে অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান।