বেইলি রোডের ভবনটিতে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে আগুন লাগে
বেইলি রোডের ভবনটিতে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে আগুন লাগে

বেইলি রোডে আগুন

একজন আবার হাসপাতালে, এখন চিকিৎসাধীন ৬ জন

রাজধানীর বেইলি রোডে ভবনে আগুনে আহত একজনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার পর আবারও ভর্তি করা হয়েছে। তাঁকে নিয়ে আগুনের ঘটনায় বর্তমানে ছয়জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের অনেকের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও এখনো আশঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছেন চারজন। তাঁরা হলেন রাকিব (২৫), মেহেদী হাসান (২২), সুমাইয়া (৩১) ও ফারদিন (১৮)। অপরদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি দুজন হলেন, মো. ইকবাল হোসেন (২২) ও মুজাহিদুল ইসলাম জোবায়ের (২১)।
এর আগে গতকাল রোববার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে এ ঘটনায় আহত দুজনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। আগের দিন শনিবার এই হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল থেকে ছাড়পত্র পান আরও ছয়জন। তাঁদের মধ্যে শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় আজ আবার হাসপাতালে ভর্তি হন ফারদিন (১৮)।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় ছাড়পত্র দেওয়া ফারদিনকে আজ আবার ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে চারজন চিকিৎসাধীন। তাঁদের শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই এই মুহূর্তে কাউকে আশঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক মো. আলাউদ্দিন বলেন, ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন দুজন অর্থোপেডিক বিভাগে ভর্তি রয়েছেন। সেখানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে।

গত বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আগুনের ঝুঁকি ও অনুমোদন না থাকার পরও ভবনটিতে আটটি রেস্তোরাঁ চলছিল বছরের পর বছর ধরে। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে সেখানে খেতে ভিড় করেছিলেন নগরের বাসিন্দারা।