মহিলা পরিষদের সভায় বক্তারা: ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারীরা সহিংসতার শিকার হচ্ছে

মহিলা পরিষদের আয়োজনে ‘আদিবাসী নারীদের মানবাধিকার সুরক্ষা: সহিংসতা প্রতিরোধে করণীয়’ শীষর্ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়
ছবি: সংগৃহীত

সংবিধানে সব নারী-পুরুষের সম–অধিকারের কথা উল্লেখ থাকলেও স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও সেই সমতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন কারণে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। যার ফলে এসব জাতিগোষ্ঠীর নারীরা আরও প্রতিবন্ধকতা, বৈষম্য ও সহিংসতার শিকার।

‘আদিবাসী নারীদের মানবাধিকার সুরক্ষা: সহিংসতা প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় কথাগুলো বলেন বক্তারা। রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সিবিসিবি সেন্টারে আজ বৃহস্পতিবার এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘আদিবাসী নারীদের সংকট নিরসনে তাঁদের জ্ঞানকে কাজে লাগাতে হবে। তাঁরা যদি নিজেদের শক্তিকে সংগঠিত করে মূলধারার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত করে, তাহলে তাঁদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন আরও সহজ হবে।’

সভায় স্বাগত বক্তব্যে মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আদিবাসী নারীদের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। তাঁরা এ মাটিরই একটি অংশ। সংবিধানে সব নারী-পুরষের সম–অধিকারের কথা উল্লেখ থাকলেও স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও সেই সমতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন কারণে আদিবাসীদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। যার ফলে আদিবাসী নারীরা আরও প্রতিবন্ধকতা, বৈষম্য ও সহিংসতার শিকার।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং বলেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে কেবল আদিবাসী নারী নয়, সব নারীই নির্যাতন–নিপীড়নের শিকার। আদিবাসীদের নিজস্ব ভাষায় শোষণ, ধর্ষণ—এ ধরনের কোনো শব্দ বা প্রতিশব্দ নেই। কিন্তু বর্তমানে তারা প্রতিনিয়ত এসবের শিকার। বেশির ভাগ আদিবাসী সমাজ মূলত মাতৃপ্রধান এবং তাদের সমাজে মেয়েরা সামাজিক ও সংস্কৃতির কারণে স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে, তাদের সমাজে নারীরা নির্যাতন–নিপীড়নের শিকার হয় না।’

বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় সিডও সনদ বিষয়ে আলোচনা করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম। জাতিসংঘ ঘোষিত ‘আদিবাসীদের অধিকার’–সম্পর্কিত ঘোষণা সম্পর্কে আলোচনা করেন আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সদস্যসচিব চঞ্চনা চাকমা। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিকারে করণীয় বিষয়ে আলোচনা করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল অ্যাডভোকেসির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক দীপ্তি রানী সিকদার।

সভার শুরুতে সংগীত পরিবেশন করেন ব্যান্ড দল এফ মাইনর।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মহিলা পরিষদের পরিচালক (অ্যাডভোকেসি লবি) জনা গোস্বামী।