এবার ঢাকার হোটেল থেকে কোকেন উদ্ধার, তানজানিয়ার নাগরিক আটক

রাজধানী থেকে কোকেনসহ আটক হয়েছেন তানজানিয়ার নাগরিক মোহাম্মেদি আলি (মাঝে)
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরার একটি আবাসিক হোটেলে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে আরও ২০০ গ্রাম কোকেন জব্দ করা হয়েছে। এ সময় তানজানিয়ার এক নাগরিককে আটক করা হয়েছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) একটি দল তাদের ডগ স্কোয়াড দিয়ে ওই আবাসিক হোটেলে অভিযান চালায়। ডগ স্কোয়াডের সহায়তায় উদ্ধার করা হয় কোকেন।

আটক হওয়া তানজানিয়ার নাগরিকের নাম মোহাম্মেদি আলি (৫৫)।
এ বিষয়ে বিমানবন্দর এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক প্রথম আলোকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এপিবিএন এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি যৌথ দল উত্তরার হোটেল এফোর্ড ইনে অভিযান চালায়। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা বিমানবন্দর এপিবিএনের ডগ স্কোয়াড অংশ নেয়।

জিয়াউল হক বলেন, হোটেলটির একটি কক্ষে অবস্থান করা মোহাম্মেদি আলিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি মাদক থাকার কথা অস্বীকার করেন। এ সময় এপিবিএনের ডগ স্কোয়াডের সহায়তায় মোহাম্মেদি আলির কক্ষে তল্লাশি চালানো হলে কালো একটি ব্যাগে লুকানো ২০০ গ্রাম কোকেন উদ্ধার করা হয়। এর বাজারমূল্য প্রায় ২৫ লাখ টাকা।

এপিবিএন জানায়, মোহাম্মেদি আলি তানজানিয়ার নাগরিক। গত ২০ জানুয়ারি তিনি আদ্দিস আবাবা থেকে কাতারের দোহা হয়ে ঢাকায় আসেন। হোটেল এফোর্ড ইনের একটি কক্ষ ভাড়া নেন। মোহাম্মেদি আলির বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এর আগে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৮ কেজি ৩০০ গ্রাম কোকেন জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার হন পূর্ব আফ্রিকার দেশ মালাউয়ির নারী নমথান্দাজো টাওয়েরা সোকো (৩৫)। বাংলাদেশে ধরা পড়া কঠিন আকারের কোকেনের সবচেয়ে বড় চালান এটি।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, নমথান্দাজো টাওয়েরা সোকো মালাউয়ির নাগরিক এবং সেখানের একটি হাসপাতালে সেবিকা হিসেবে চাকরি করেন। তিনি বাংলাদেশি কারও কাছে ওই কোকেন পৌঁছে দিতে এসেছিলেন। কোকেন চোরাচালানে আন্তর্জাতিক চক্র বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করতে সোকোর মাধ্যমে এই চালান এনেছিল।

২০১৭ সালে বিমানবন্দর এপিবিএনের ডগ স্কোয়াড হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্ব পালন শুরু করে। শুরুতে ৮টি কুকুর দিয়ে শুরু হলেও বর্তমানে এই স্কোয়াডে কুকুরের সংখ্যা ২২। এসব কুকুর বিস্ফোরক ও মাদক উদ্ধারে পারদর্শী।