ঢাকার রাস্তায় এলোপাতাড়ি গুলির সময় গুলিবিদ্ধ মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীলের (৫২) শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তিনি ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে আছেন। চিকিৎসকেরা বলেছেন, ভুবন চিকিৎসায় কোনো সাড়া দিচ্ছেন না।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে ভুবনের শ্যালক পলাশ চন্দ্র শীল আজ রোববার রাত সাড়ে নয়টার দিকে প্রথম আলোকে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, চিকিৎসায় ভুবন সাড়া দিচ্ছেন না। যেকোনো দুঃসংবাদের জন্য তাঁদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
পলাশ বলেন, এ কথা শোনার পর তাঁর বোন (ভুবনের স্ত্রী) রত্না চন্দ্র শীল অনবরত কেঁদে চলেছেন। তিনি তাঁর স্বামীর জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
রত্না শীল তাঁর একমাত্র মেয়ে ভূমিকা চন্দ্র শীল ও দুই ভাইকে নিয়ে চার-পাঁচ দিন ধরে হাসপাতালেই রয়েছেন।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ৯টা থেকে পৌনে ১২টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টা ভুবনের মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার চলে। অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে কি না, তা ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করার পর জানানো হবে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন। তবে আজ বেলা ১১টা থেকে ভুবনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
এদিকে ভুবনের চিকিৎসায় হাত বাড়িয়েছে সুহানা অ্যান্ড আনিস আহমেদ ফাউন্ডেশন। এই ফাউন্ডেশনের জ্যেষ্ঠ কর্মসূচি ব্যবস্থাপক আশা পাল আজ প্রথম আলোকে বলেন, ফাউন্ডেশন হাসপাতালের সঙ্গে কথা বলে আজ পর্যন্ত ভুবন শীলের চিকিৎসার খরচের বকেয়া পরিশোধ করেছে। ফাউন্ডেশন সব সময় ভুবনের পাশে আছে।
আশা পাল বলেন, ‘ভুবনের মাথায় অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত, টাকা জোগাড় নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরিবার’ শিরোনামে শুক্রবার প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদন তাঁদের ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং কো–চেয়ারম্যান আনিস আহমেদের নজরে আসে। তিনি চান ভুবন শীল যেন সঠিক চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে তাঁর পরিবারের কাছে ফিরে আসতে পারেন।
গত সোমবার রাত ১০টার দিকে তেজগাঁও শিল্প এলাকার বিজি প্রেসের সামনের রাস্তায় শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈদ ওরফে মামুনের প্রাইভেট কার লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে একদল সন্ত্রাসী। এ সময় মোটরসাইকেলে করে ওই পথ দিয়ে নিজ বাসায় ফেরার সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন ভুবন।