বিশ্বের সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণের শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম ঢাকা। এই সমস্যার প্রধান উৎস হলো যানবাহনের হর্ন। মাত্রাতিরিক্ত শব্দ শুধু মানবজীবনেই নয়, জীববৈচিত্র্যের জন্যও ক্ষতিকর।
পরিবেশবাদী যুব সংগঠন গ্রীন ভয়েসের আয়োজিত ছাত্র-যুব সমাবেশ ও শোভাযাত্রায় বক্তারা এ কথা বলেন। ‘শব্দদূষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে’ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই সমাবেশ ও শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।
এই আয়োজনে সভাপতির বক্তব্যে গ্রীন ভয়েসের প্রধান সমন্বয়ক আলমগীর কবির বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণকারী শহরগুলোর শীর্ষে রয়েছে ঢাকা। আর এই সমস্যার প্রধান উৎস হলো যানবাহনের হর্ন। বিভিন্ন আইনে হর্ন বাজানোর জন্য নির্দিষ্ট বিধিনিষেধ রয়েছে। তবে আইন কার্যকর না হওয়ায় এ সমস্যা এখনো সমাধান হয়নি। জরিমানার বিধান থাকলেও তা কার্যকর হয়নি সেভাবে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর থেকে বিমানবন্দরের আশপাশের তিন কিলোমিটার এলাকাকে ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা করেছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে পুরো ঢাকাকে হর্নমুক্ত করার চেষ্টা চলছে। শব্দদূষণ রোধে জনসচেতনতার জন্য পরিবেশবাদী যুব সংগঠন গ্রীন ভয়েস কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস বলেন, মাত্রাতিরিক্ত শব্দ শুধু মানবজীবনেই নয়, জীববৈচিত্র্যের জন্যও ক্ষতিকর। শব্দদূষণ চোখে দেখা যায় না। তাই এর ক্ষতিকর বিষয়টি উপেক্ষা করা হয়। অথচ শব্দদূষণ মাথার চুল থেকে শুরু করে পায়ের নখ পর্যন্ত শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে। তিনি বলেন, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সবাইকে সুনাগরিকের পরিচয় দিতে হবে।
গ্রীন ভয়েস এর সহসমন্বয়ক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় ছাত্র-যুব সমাবেশে আর বক্তব্য দেন গ্রীন ভয়েসের শুভানুধ্যায়ী আবু সেলিম, গ্রীন ভয়েসের সহসমন্বয়ক শাকিল কবির, ফাহমিদা নাজনীন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগঠক ফাতেমা আক্তার, টিচার্স ট্রেনিং কলেজ শাখার সভাপতি রেজওয়ান হোসেন, তেজগাঁও কলেজের সংগঠক মেহেদী হাসান, ইডেন কলেজ শাখার সদস্য নুসরাত ইমরোজ ও প্রতিভা মোস্তফা, এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য মো. আসিফ প্রমুখ।