মামুন শেখ। পেশায় অটোরিকশা চালক। মোহাম্মদপুর রায়েরবাজার এলাকায় থাকেন। অটোরিকশাচালক মামুন ঈদের সময় বাড়তি আয়ের আশায় চুক্তিতে কোরবানির পশু জবাই করেন। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও তিন হাজার টাকা চুক্তিতে দুটি খাসি জবাই করার কাজ নেন তিনি। জবাই শেষে মাংস বানানোর সময় চাপাতি ছুটে বাম পায়ে লেগে আহত হোন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক)) হাসপাতালে ভর্তি হোন।
ঢাকার হাতিরপুল এলাকায় কোরবানির সময় গরু পা ছুটে বাম হাতে লাগে মতিউর রহমানের। তিনি স্থানীয় একটি স্যানেটারির দোকানে কাজ করেন। মতিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘গরুর পায়ের আঘাতে আমার বাম হাতে আঙ্গুল কেটে গেছে। হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি।’
মামুন শেখ ও মতিউর রহমানের মতো পশু কোরবানি করতে গিয়ে ঢাকায় অন্তত ৭০ জন আহত হয়েছেন বলে ঢামেক সূত্রে জানা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ঢামেকে এসে তাঁরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। ঢামেক সূত্রে জানা যায়, আহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই মৌসুমি কসাইয়ের কাজ করতে গিয়ে হতাহত হয়েছে। কোরবানির কাজে সহযোগিতা করতে গিয়ে কারও আঙুল কেটেছে, আবার কারও ধারালো অস্ত্রে আঘাত লেগেছে। এ ছাড়া গরুর আঘাতেও আহত হয়েছেন অনেকে।
ঢামেকের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক (আরএস) আলাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, সকাল থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত প্রায় ৭০ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। কোরবানি দিতে গিয়ে এ সময় কারও হাত ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কেটেছে, পাশাপাশি গরুর লাথিতে কেউ আঘাত পেয়েছে। তবে তাঁদের মধ্যে কেউ গুরুতর নয়।
আলাউদ্দিন বলেন, দিনভর বৃষ্টি হওয়ার কারণে অন্যান্য কোরবানি ঈদের তুলনায় এবার আহত সংখ্যা কম। কারণ, হিসেবে তিনি বলেন, বৃষ্টি না হলে কোরবানির সময় লোকজন রাস্তায় বেশি থাকেন। এই কারণে আহত সংখ্যা বেশি থাকে।
আলাউদ্দিন বলেন, প্রতিবছরের মতো কোরবানিতে আহত ব্যক্তিদের দ্রুত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া ছিল। এই প্রস্তুতি আগামীকালও থাকবে।