আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ফেরদৌসী কাদরী ভিনফিউচার স্পেশাল প্রাইজ পেয়েছেন। কলেরা, টাইফয়েড এবং হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাসের (এইচপিভি) সুলভ মূল্যের টিকা উদ্ভাবনে অবদান রাখার জন্য তাঁকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। উন্নয়নশীল দেশের উদ্ভাবক ক্যাটাগরিতে তিনি এ পুরস্কার পেয়েছেন।
ভিনফিউচার পুরস্কার দুটি ক্যাটাগরিতে দেওয়া হয়। একটি গ্র্যান্ড প্রাইজ, আরেকটি স্পেশাল প্রাইজ। ২০২৪ সালে বিশ্বের ৮০টির বেশি দেশ ও ভূখণ্ডের প্রায় দেড় হাজার ব্যক্তিকে এ দুই ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন দেওয়া হয়। চলতি বছর ভিনফিউচার পুরস্কারের বিষয়বস্তু ছিল ‘রিজিলিয়েন্ট রিবাউন্ড’ বা অদম্য ঘুরে দাঁড়ায়। ফেরদৌসী কাদরীর কাজে এ বিষয়টি ফুটে উঠেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ের হো গুওম অপেরা হাউসে ভিনফিউচারের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ফাম মিন চিন, ভিন গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ভিনফিউচার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ফাম নাট ভুওংসহ ভিন গ্রুপের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পুরস্কার গ্রহণের সময় দেওয়া বক্তৃতায় ফেরদৌসী কাদরী কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, উন্নয়নশীল দেশের উদ্ভাবন বিভাগে ভিনফিউচার পুরস্কার পাওয়ায় আমি গভীরভাবে সম্মানিত বোধ করছি। চার দশক ধরে আমি সংক্রামক রোগ, বিশেষ করে কলেরা, টাইফয়েড এবং এইচপিভির টিকা সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর মানুষের জন্য সুলভ মূল্যে উদ্ভাবনের কাজে মনোনিবেশ করেছি। শিশু ও নারীদের জন্য এটা বিশেষভাবে কাজে লেগেছে।