বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উচ্চতর পাঠচক্র-১৯ তাদের পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘স্মৃতি ও সৃজন’ নামের এই বিশেষ স্মরণিকা প্রকাশ করে
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উচ্চতর পাঠচক্র-১৯ তাদের পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘স্মৃতি ও সৃজন’ নামের এই বিশেষ স্মরণিকা প্রকাশ করে

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র উচ্চতর পাঠচক্র-১৯ পূর্ণ করল ৫ বছর

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের উচ্চতর পাঠচক্র–১৯–এর পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে। স্মৃতিচারণা, কবিতা আবৃত্তি, গান, নাচ, পুঁথি পাঠ, নাটিকাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বর্ষপূর্তি পালন করেন পাঠচক্রের সদস্যরা।

গত শুক্রবার রাজধানীর বাংলামোটরে ময়মনসিংহ রোডে অবস্থিত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। তিনি পাঠচক্রের সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা নানা দিকে বিকশিত হও। জীবনকে মূল্যবান ভেবো। প্রতিটি মিনিট এই পৃথিবীকে উপহার দাও।’

২০১৯ সালে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আলোর ইশকুল কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শুরু হয় উচ্চতর পাঠচক্র–১৯। গত পাঁচ বছরে এই পাঠচক্রের শতাধিক সদস্য পড়েছেন দেড় শতাধিক বই। ছয় বছরে পদার্পণ উপলক্ষে বিশেষ স্মরণিকা প্রকাশ করেছেন উচ্চতর পাঠচক্র–১৯–এর সদস্যরা। ‘স্মৃতি ও সৃজন’ নামের এই বিশেষ স্মরণিকা সম্পাদনা করেছেন রুখসানা মিলি। প্রকাশনার দায়িত্বে ছিলেন মুহিব নেসার।

২০১৯ সালের ২২ নভেম্বর ফ্রানৎস কাফকার বিশ্ববিখ্যাত উপন্যাস ‘মেটামরফোসিস’ পাঠের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে কেন্দ্রের এই বিশেষায়িত পাঠচক্রটি। পাঁচ বছরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, লিও তলস্তয়, জ্যঁ পল সার্ত্র, জ্যাক লন্ডন, ম্যাক্সিম গোর্কি, হেনরিক ইবসেন, জ্যঁ জিরাদু, নিকোলাই গোগল থেকে শুরু করে সরদার ফজলুল করিম, আহমদ ছফাসহ অনেক লেখকের বই পড়েছেন সদস্যরা।

পাঠচক্রের সদস্যরা প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, তাঁরা নিয়মিত বই পড়ার পাশাপাশি একসঙ্গে ভ্রমণ, মঞ্চনাটক দেখা, গাছ-ফুল-নিসর্গ পরিচিতি করে থাকেন। সমাজের যেখানে যার অবস্থান সেখান থেকেই নিজেদের আরও একটু উন্নত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে এসব করেন তাঁরা।