ঢাকার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ–বাণিজ্য ও টেন্ডারবাজি নিয়ে ওঠা অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। গত বৃহস্পতিবার এ কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দকে। বাকি দুই সদস্য হলেন ইউজিসির পরিচালক ওমর ফারুক ও উপপরিচালক গোলাম দস্তগীর। ইউজিসির অফিস আদেশে বলা হয়েছে, এ কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক, প্রশাসনিক ও আর্থিক অনিয়ম–সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেবে।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়ার সময়ে নিয়োগ–বাণিজ্য ও দরপত্রে অনিয়ম নিয়ে গত ১৭ মে প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তাতে উপাচার্যের দুই ছেলে ও ভাগনিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গত ডিসেম্বরে উপাচার্যের নিজ জেলা নরসিংদীর অন্তত সাতজনের চাকরি হয়। এ ছাড়া উপাচার্য তাঁর স্ত্রীর একটি গাড়ি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রকল্পে এক বছর ভাড়া খাটিয়েছেন।
তবে ইউজিসির অফিস আদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নিয়ে আলাদাভাবে কিছু বলা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ ও অন্যান্য অভিযোগ নিয়ে সামগ্রিকভাবে বলা হয়েছে।
ইউজিসির অফিস আদেশে বলা হয়, তদন্তের স্বার্থে কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়–সংশ্লিষ্ট যেকোনো নথি, নিয়োগ পরীক্ষা–সংক্রান্ত যেকোনো তথ্য ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাসহ অনুলিপি সংগ্রহ করতে পারবে। এ ছাড়া কমিটি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট যেকোনো ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। এ কমিটি উত্থাপিত অভিযোগ তদন্ত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সুপারিশ–সংবলিত একটি প্রতিবেদন কমিশনের কাছে জমা দেবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সদস্য গোলাম দস্তগীর প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে যা যা প্রয়োজন, তা–ই করা হবে। যত দ্রুত সম্ভব আমরা প্রতিবেদন দেওয়ার চেষ্টা করব।’