‘লাশ পাওয়া গেছে, তোরা কবর খোঁড়।’ কাঁদতে কাঁদতে মুঠোফোনে কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজারে ভবনে বিস্ফোরণে নিহত মেহেদী হাসান ওরফে স্বপনের (৪০) বড় ভাই তানভীর হাসান।
গত মঙ্গলবার কুইন স্যানিটারি মার্কেট হিসেবে পরিচিত ভবনে বিস্ফোরণের পর থেকে মেহেদী নিখোঁজ ছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ভবনটির বেজমেন্ট থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
মেহেদীর বড় ভাই তানভীরসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্বজনেরা লাশটি শনাক্ত করেন। মেহেদীর লাশ উদ্ধার হওয়ার খবর মুঠোফোনে বাড়িতে জানান তানভীর।
মেহেদীদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার পশ্চিম এনায়েতপুর গ্রামে। দুই ভাই ও চার বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন মেহেদী। তাঁর স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত সাততলা ভবনটির বেজমেন্টে থাকা বাংলাদেশ স্যানিটারি নামের দোকানের ব্যবস্থাপক ছিলেন মেহেদী। বেজমেন্টের দক্ষিণ পাশে সিঁড়ির নিচে মেহেদীর লাশ পায় ফায়ার সার্ভিস।
মেহেদীর লাশ উদ্ধারের পর বড় ভাই তানভীর বিলাপ করতে করতে বলছিলেন, ‘ও (মেহেদী) ছিল সবার ছোট। ও-ই সবার আগে চলে গেল।’
গত মঙ্গলবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে কুইন স্যানিটারি মার্কেটে ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশের আরও দুটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিস্ফোরণে কুইন মার্কেটের ভবনটির বেজমেন্ট, প্রথম ও দ্বিতীয় তলা বিধ্বস্ত হয়। বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।