পবিত্র ঈদুল আজহার দিন বেলা দুইটা থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করতে কাউন্সিলরদের নির্দেশনা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে করপোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের ২০তম বোর্ড সভায় মেয়র শেখ তাপস এ নির্দেশনা দেন।
সভায় কাউন্সিলরদের উদ্দেশে মেয়র শেখ তাপস বলেন, ‘আপনারা গতবার অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে নিজ নিজ ওয়ার্ড থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছিলেন। এমনকি কে আগে বর্জ্য অপসারণ শেষ করতে পারেন, সে জন্য আপনাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। আমি আশা করছি, আপনারা এবারও নিজ উদ্যোগে এই পুরো কার্যক্রম তদারকি করবেন।’ তিনি বলেন, ‘বর্জ্য সংগ্রহে আমাদের নিবন্ধিত যে প্রতিষ্ঠানগুলো (পিসিএসপি) রয়েছে, আমরা এরই মধে৵ তাদের নিয়ে একটি সভা করেছি। মাঠপর্যায়ে আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও পিসিএসপিগুলোকে নিয়ে বেলা দুইটা থেকেই যেন কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করা যায়, সেটি নিশ্চিত করবেন।’
পশুর হাটের বর্জ্য সীমিত পরিসরে ঈদের রাত থেকে অপসারণ শুরু করার দিকনির্দেশনা দিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র বলেন, ‘যেসব মহল্লা ও এলাকায় পশুর হাট রয়েছে, সেসব পশুর হাট থেকে ঈদের রাত ১২টার আগে থেকে আমরা বর্জ্য অপসারণ শুরু করতে চাই। রাত ১১টা, ১২টা থেকে হাটের পরিধি কমতে শুরু করে। পশু কমতে শুরু করে। সে ক্ষেত্রে অগ্রিম যদি আমরা কিছু বাঁশ খুলে, কিছু জায়গা কমিয়ে ফেলতে পারি, তাহলে পরবর্তী কাজটা আমাদের আরও সুবিধা হবে।’ তিনি বলেন, ‘এটা না হলে একদিকে হাটের বর্জ্য আবার অন্যদিকে পশুর বর্জ্য—এসব অপসারণ কার্যক্রম করতে হিমশিম খেতে হয়। সে জন্য আগে রাত থেকেই হাটের বর্জ্য অপসারণ শুরু করব, কমিয়ে ফেলব। তাহলে আমরা সুন্দরভাবে পরিষ্কার কার্যক্রম বাস্তবায়িত করতে পারব। ঢাকাবাসীকে দ্রুত একটি পরিচ্ছন্ন নগর উপহার দিতে পারব।’
কোরবানির স্থান ও বাসাবাড়ি থেকে সব বর্জ্য সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রে নিয়ে যেতে কাউন্সিলরদের জোর তদারকিরও নির্দেশ দেন মেয়র।
বোর্ড সভায় করপোরেশনের অঞ্চল-৫–এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকারকে ২০২১-২২ অর্থবছরে ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রসমূহ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় বিশেষ কৃতিত্বের জন্য’ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ ছাড়া অঞ্চল-৫–এর সহকারী সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা মুহাম্মদ সামছুল আলম, এ অঞ্চলের সমাজকল্যাণ শাখার তত্ত্বাবধায়ক মো. নুরুল ইসলাম খান ও অঞ্চল-২–এর সমাজকল্যাণ শাখার তত্ত্বাবধায়ক মুহাম্মদ মাসুদুর রহমানকেও সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্রগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সম্মাননা প্রদান করা হয়।
বোর্ড সভায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক ও কাউন্সিলরা উপস্থিত ছিলেন।