এডিস মশার প্রজননস্থল হতে পারে এমন শঙ্কার কথা জানালে ১৫ মিনিটের মধ্যেই ব্যবস্থা নেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
মঙ্গলবার ডিএসসিসি প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে স্থাপিত ‘এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মাঠপর্যায়ের কার্যক্রম সরাসরি পর্যবেক্ষণ এবং তদারক–সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ডিএসসিসির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এ ঘোষণা দেন।
মেয়র বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, গত বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গু রোগী বা এডিস মশার বিস্তার বাড়বে। সেই আশঙ্কাকে আমলে নিয়ে ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জরিপে চিহ্নিত অতিঝুঁকিপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলোতে আমরা চিরুনি অভিযান পরিচালনা করেছি। যেসব জায়গায় লার্ভার অভয়ারণ্য পেয়েছি, সেসব জায়গা চিহ্নিত করে সব সংস্থা ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি।’
নিজেদের ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের বিবরণ দিয়ে মেয়র আরও বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে সব হাসপাতাল, থানা-পুলিশ ফাঁড়ি ও ৪৮৫টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। ফলে গত বছরের জুলাই মাসে ১ হাজার ৩৩৭ জন রোগী চিহ্নিত হলেও চলতি বছর এ পর্যন্ত ১২০ রোগী পেয়েছি। অর্থাৎ আমাদের সামষ্টিক কার্যক্রমের কারণে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখা গেছে।’
মেয়র আরও জানান, আগামী তিন মাস ডিএসসিসি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষ পরিচালনা করবে। কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সরাসরি তদারকিতে ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রজননস্থল হওয়ার আশঙ্কা থাকলে ০১৭০৯৯০০৪৪৪ বা ০২২৩৩ ৮৬০১৪ নম্বরে কল দিয়ে জানাতে অনুরোধ করেছে ডিএসসিসি।
অনুষ্ঠানে মেয়রের সঙ্গে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।