স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, সাভারের আশুলিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শ্রমিক অসন্তোষে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বহিরাগতদের উসকানি রয়েছে। তাই দেশের অর্থনীতি ও শ্রমিকদের রক্ষায় কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে। প্রয়োজনে উসকানিদাতাদের গ্রেপ্তার বা আটক করা হতে পারে।
আজ বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জরুরি বৈঠক শেষে হাসান আরিফ এমন মন্তব্য করেন। বৈঠকে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান ও শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
হাসান আরিফ বলেন, ‘চারদিকে যে শ্রমিক অসন্তোষ হচ্ছে, তা নিয়ে আজ আমরা বৈঠক করেছি। আমরা খবর পাচ্ছি, প্রকৃত শ্রমিক যাঁরা, তাঁরা কেউ নিজের বাড়ি পোড়াবেন না। কারণ, এখানে তাঁর জীবিকা। এটা বহিরাগতরা এসে করেছে। তাদের আপনারা (শ্রমিকেরা) বাধা দেন, আপনারা তাদের বাধা দিলে আমরাও আপনাদের সঙ্গে থাকব। এমনভাবে তারা (উসকানিদাতারা) মিশে আছে, যে তাদের আলাদা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।’
হাসান আরিফ বলেন, ‘আপনারা খেয়াল করবেন, যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ কারখানা, কুমিল্লায় প্রাণ কোম্পানির কারখানা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাণ কোম্পানিতে কোনো দিন শ্রমিক বিশৃঙ্খলা ছিল না। কিন্তু এই কোম্পানি যেহেতু দিনকে দিন বিশ্ব ছেয়ে ফেলছে, তাহলে এটা যদি নষ্ট হয়, তাহলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার অর্জন বন্ধ (ক্ষতিগ্রস্ত হবে) হয়ে যাবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘স্থানীয় কারখানা নষ্ট হয়ে গেলে কার লাভ হবে? কাজেই শ্রমিকেরা কোনো বিশৃঙ্খলা করছেন না। যাঁরা করছেন, তাঁদের অধিকাংশই বহিরাগত। তাঁদের মোকাবিলা করতে আমাদের একটু কঠিন হতে হবে।’
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা মনে রেখেছি, সরকার কোনো সময় তার নাগরিকের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ করবে না, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু এখন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, কারখানা, শ্রমিক ও দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে গেলে কিছুসংখ্যকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সে ব্যাপারে আমাদের আলোচনা হয়েছে।’
কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে, জানতে চাইলে উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, ‘সে বিষয়ে আরও চিন্তাভাবনা করতে হবে। তাঁরা গ্রেপ্তার কিংবা আটক হতে পারেন।’