মাপে তেল কম দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর কল্যাণপুরে ডিপোর সামনে আট ঘণ্টা ধরে অবস্থান করছেন এক যুবক। তাঁর নাম শেখ ইসতিয়াক আহমেদ। তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা।
ইসতিয়াক জানান, তিনি এর মধ্যে ৯৯৯–এ ফোন করলে সেখান থেকে ভোক্তা অধিকারের কয়েকটি নম্বর দেওয়া হয়েছে। সেগুলোতে ফোন করলেও রিসিভ হয়নি। তাই তিনি ভোক্তা অধিকারে অভিযোগ করতে পারছেন না। এ ছাড়া তিনি সেখান থেকে গিয়ে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে অভিযোগও করতে পারছেন না। কারণ, ঘটনাস্থল থেকে সরলে প্রমাণ নষ্ট হতে পারে। তাঁর দাবি, ভোক্তা অধিকারের ভ্রাম্যমাণ দল ঘটনাস্থলে এলে অভিযোগের প্রমাণ পাবে।
শেখ ইসতিয়াক আহমেদের সঙ্গে ঘটনার শুরু সকালে। ইসতিয়াক জানান, তাঁর বাসা শ্যামলীর আদাবরে। সেখান থেকে সকাল ১০টার দিকে মিরপুরের বিআরটিএ কার্যালয়ে যাওয়ার পথে ৪ নম্বর দক্ষিণ কল্যাণপুরের সোহরাব সার্ভিস স্টেশন থেকে ৫০০ টাকার অকটেন নেন।
শেখ ইসতিয়াক আহমেদের অভিযোগ, সামনে মিটার থাকলেও তেল সরবরাহকারী আকাশ তাঁকে পিছে আসতে বলেন। এতে তিনি গাছের আড়ালে পড়লে তাঁকে তেল দেওয়া হয়। তিনি বুঝতে পারেন, তাঁকে তেল দিতে কারসাজি করা হয়েছে। ৫০০ টাকার ভাউচার পেলেও তেল পাননি।
ইশতিয়াক জানান, তাঁর মোটরসাইকেলে রিজার্ভেও তেল ছিল না। তাই তিনি ডিপো কর্তৃপক্ষকে মোটরসাইকেল থেকে তেল বের করে মাপার কথা বলেন। কিন্তু তারা তাঁর দাবিকে পাত্তা দেয়নি। এরপর বেলা ১১টা থেকে ‘সঠিক পরিমাণে তেল চাই’ প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান করছেন। এ প্রতিবেদন লেখা (সন্ধ্যা ছয়টা) পর্যন্ত তিনি সেখানে অবস্থান করছিলেন।
সোহরাব সার্ভিস স্টেশনের ম্যানেজার বেলায়েত হোসেন প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, তাঁরা তিন মাস থেকে ডিপো চালাচ্ছেন। ফলে ডিপোর পুরোনা কর্মচারীরা রয়ে গেছেন। তাঁদের একজন এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস প্রথম আলোকে বলেন, ইসতিয়াক আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে ভোক্তা অধিকার কার্যালয়ে এসে অভিযোগ দেবেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।