আগুন থেকে প্রাণ বাঁচাতে ১২ তলা থেকে লাফ দিয়েছিলেন মোহাম্মদ রাজু। তবে শেষ পর্যন্ত বাঁচতে পারেননি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে মারা যান তিনি।
গুলশানের বহুতল ভবনের ১২ তলায় দুই বছর আগে এক কর্মকর্তার বাসায় বাবুর্চির কাজ নিয়েছিলেন মোহাম্মদ রাজু। গতকাল অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারা যাওয়া আনোয়ার হোসেনও ১২ তলায় বাবুর্চির কাজ করতেন। তাঁর বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ফাহিম সিনহার বাসায় বাবুর্চির কাজ ও বাজার করতেন।
পুলিশ বলেছে, আগুন লাগার পর ওই ভবন থেকে লাফিয়ে বা পড়ে গিয়ে আনোয়ার হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর বাড়ি ভোলায়।
মোহাম্মদ রাজুর বাড়ি গাজীপুরের কালীগঞ্জে। তাঁর পরিবার গ্রামে থাকত। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভাই সজীব।
জয়নুল হক সিকদার ওমেন্স মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের ব্যবস্থাপক মোস্তাকিম বাদশা বলেছেন, পরিবার ভোর পৌনে চারটার দিকে মোহাম্মদ রাজুর লাশ নিয়ে গেছে।
আজ সকাল থেকে বহুতল ওই ভবনে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে অগ্নিনির্বাপক বাহিনী। তারা বলছে, ওই ভবনের ২৬টি ফ্ল্যাটে ২৩ পরিবার বসবাস করত। সেখানে খোঁজ করে আর কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি।
গুলশান-২-এর ১০৪ নং সড়কের বাসা-২/এ-এর সামনে সকালে উৎসুক জনতার ভিড় দেখা গেছে। সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ সদস্য।
গতকাল রোববার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে ওই ভবনে আগুন লাগে। অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর ১৯টি ইউনিটের প্রায় ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।অগ্নিকাণ্ডে আহত কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আগুনের ঘটনায় ভবনটি থেকে মোট ২২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে নারী ১৭ জন।