ঈদ উদ্‌যাপন করতে অনেকেই রাজধানী ছেড়েছেন। তাই রাজপথ প্রায় ফাঁকা। কারওয়ান বাজার, ঢাকা, ১৬ জুন
ঈদ উদ্‌যাপন করতে অনেকেই রাজধানী ছেড়েছেন। তাই রাজপথ প্রায় ফাঁকা। কারওয়ান বাজার, ঢাকা, ১৬ জুন

রাজধানী ঢাকা অনেকটাই ফাঁকা

রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। পরিবার–পরিজন, বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করবেন দেশবাসী। সে জন্য ইতিমধ্যে রাজধানী ছেড়ে বহু মানুষ বাড়িতে ফিরেছেন। এতেই ঢাকা শহর হয়ে গেছে অনেকটাই ফাঁকা।

শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা। তবে শেষ সময়ে ঢাকা ছাড়তে দিনজুড়ে বাস টার্মিনাল, রেলওয়ে স্টেশন ও নদীবন্দরের দিকে ছুটেছেন মানুষ। পাশাপাশি কোরবানির জন্যও পশুর হাট–কেন্দ্রিক মানুষের চলাচলও ছিল। ফলে এসব জায়গায় মানুষের চাপ কিছুটা বেশি ছিল। সেই সঙ্গে এসব এলাকার আশপাশের সড়কে যানজটও দেখা গেছে। অবশ্য অন্যান্য এলাকার চিত্র ছিল ভিন্ন।

রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকায় রাজধানীর এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় সহজেই চলে যাওয়া যাচ্ছে। মতিঝিল–কারওয়ান বাজার–গাবতলীর পথে ধীরগতির বাসগুলোর মধ্যে অন্যতম ৮ নম্বর পরিবহনের বাসগুলো। রোববার সাড়ে পাঁচটার ৮ নম্বর পরিবহনের একটি বাসে উঠলে মতিঝিল থেকে কারওয়ান বাজার ১৮ মিনিটে নিয়ে আসে। সাধারণ কর্মদিবসে এই রাস্তায় আসতে এই পরিবহনের বাসের পৌনে এক ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টার মতো সময় লাগে।

ঢাকা ফাঁকা হওয়ায় বাসের যাত্রীও কম। ৮ নম্বর পরিবহনের সেই বাস অনেকক্ষণ মতিঝিলে অপেক্ষা করে মাত্র ১৫ জন যাত্রী নিয়ে রওনা দেয়। যখন কারওয়ান বাজার আসে, তখন বাসে ১৩ জন যাত্রী ছিলেন।

মানুষ কম থাকায় যাত্রীসংকটে আছে সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলোও। মো. সেলিম নামের একজন সিএনজিচালক আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকালে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করে কোনো যাত্রী পাননি। পরে বিকেলে চারটার পর বের হয়ে একজন যাত্রী পেয়েছেন। রাজধানীর খিলক্ষেত থেকে ধানমন্ডি ২৮ নম্বর আনা এই যাত্রীর কাছ থেকে ৪০০ টাকা ভাড়া দিয়েছেন। এ ছাড়া সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত তিনি আর কোনো যাত্রী পাননি। মো. সেলিম বলেন, খিলক্ষেত থেকে ধানমণ্ডি ২৮ নম্বরে আসতে তাঁর ২০ মিনিটের মতো সময় লেগেছে। কর্মদিবসে হলে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় লাগত।