পূর্বাচলে মেট্রোরেলের (এমআরটি-১ লাইন) নির্মাণকাজের কারণে আট লেনের এক্সপ্রেসওয়ের (৩০০ ফুট) সামান্য ক্ষতি হবে না বলে দাবি করেছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।
আজ রোববার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে মেট্রোরেলের এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী।
এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক সচিব বলেন, ‘যেকোনো কাজ করতে গেলে কিছু সমস্যা হয়। মেট্রোরেল নির্মাণের কারণে পূর্বাচল ৩০০ ফুটের তেমন ক্ষতি হবে না। প্রকল্প বাস্তবায়নের এলাকায় কারও জমি নেওয়া হলে, কারও ভবন বা বাড়ি ভাঙা পড়লে তার জন্য অবশ্যই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। তার আগে আমরা কতটুকু ক্ষতি হবে, তা স্টাডি করি।’
দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলের (এমআরটি-১ লাইন) নির্মাণকাজে ৩০০ ফুট সড়কের তেমন ক্ষতি হবে না উল্লেখ করে এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, রাস্তার সামান্য ক্ষতি হবে। যে জায়গায় কাজ হবে, সেখানে ব্যারিকেড দেওয়া হবে। সড়ক বিভাজক ভাঙা পড়বে। রাস্তার কিছু অংশ ভাঙা পড়বে। এটাকে রাস্তা কাটা বলা যাবে না।
এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ‘৩০০ ফুট রাস্তার দুই দিকে লাইট লাগিয়েছে রাজউক। কিন্তু রাস্তার মধ্যে (মাঝখানে) লাইট লাগানো হয়নি। আমাদের মধ্যে সমন্বয়ের কারণে এটি করা হয়েছে। মাঝখান দিয়ে মেট্রোরেলের লাইন যাবে বলেই ওখানে লাইট লাগানো হয়নি।’
ওই এলাকার ১২টি আন্ডারপাসের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা সমন্বয় করেছি। মিনিমাম অংশে ক্ষতি হবে। তবে শতভাগ অক্ষত রাখা যাবে না। এমনটাও তো নয় যে মেট্রোরেল আকাশ দিয়ে যাচ্ছে। কাজ শুরু হলেই দেখা যাবে কতটা ভাঙা হচ্ছে। কয়টা আন্ডারপাস ভাঙা হবে, তা নিয়ে আমাদের বসতে হবে।’
কুড়িল থেকে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফুট) সড়ক নির্মাণ করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। ১০ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পের কাজ ২০১৫ সালে শুরু হয়, যার সিংহভাগ কাজ শেষ হয়েছে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। এ বছর প্রকল্পটির উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
অন্যদিকে মেট্রোরেলের (এমআরটি-১ লাইন) নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়েছে এ বছরের ২ ফেব্রুয়ারি। বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত, যা মূলত পাতালরেল। অন্য দিকে এ মেট্রোরেলের আরেকটি অংশ যাবে নর্দ্দা থেকে পূর্বাঞ্চলের পিতলগঞ্জ পর্যন্ত। এটি হবে উড়ালপথে ৩০০ ফুট সড়ক হয়ে। এটি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) বাস্তবায়ন করছে।
মেট্রোরেল লাইন-১ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ হাজার কোটি টাকা। জাপানি ঋণ ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা। আর বাকি অর্থ সরকারি তহবিল থেকে মেটানো হবে।