ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর এডিস মশাবাহিত এ রোগে দুজনের মৃত্যু হলো। এর আগে গত বছর এডিস মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন ১ হাজার ৭০৫ জন।
আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে আজ বুধবার সকাল আটটা) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে। রাজধানীর একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এই সময়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৭০ জন। তাঁদের মধ্যে ঢাকার হাসপাতালগুলোয় ৩২ ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোয় ৩৮ জন ভর্তি হন।
চলতি বছরের প্রথম তিন দিনে দেশে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ে ২১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
উষ্ণ আবহাওয়ায় ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটে বেশি। তবে শীত এলেও দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমছে না। গত বছরও শীতে ডেঙ্গুর সংক্রমণ থাকলেও রোগটির এত বিস্তৃতি দেখা যায়নি। চলতি নভেম্বরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা গত বছরের এ সময়ের দ্বিগুণ।
গত শতাব্দীর ষাটের দশকে এ দেশে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। এরপর ২০০০ সালে প্রথম বড় আকারে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ডেঙ্গু ছিল মূলত ঢাকা শহরকেন্দ্রিক। এরপর প্রতিবছর কমবেশি ডেঙ্গুর সংক্রমণ দেখা দিতে থাকে। তবে ডেঙ্গু বড় বড় শহরেই সীমাবদ্ধ ছিল। ২০১৯ সালে বড় বড় শহরের পাশাপাশি কয়েকটি গ্রামেও ডেঙ্গু শনাক্ত হয়।
রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ৮৬৮ জন। সর্বশেষ গত বছর ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যু অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।