ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন এলাকায় বস্তিতে বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের জন্য এক কোটি টাকা বৃত্তির ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। বস্তিতে বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য প্রতিবছর ডিএনসিসির পক্ষ থেকে এই বৃত্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে ঢাকা উত্তর সিটির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘জলবায়ু উদ্বাস্তু নিয়ে ঢাকা উত্তরের চ্যালেঞ্জ ও সমাধান’বিষয়ক পলিসি ডায়ালগ অনুষ্ঠানে মেয়র এই ঘোষণা দেন। জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েক দিন আগে আমি কড়াইল বস্তি ও ভাষানটেক বস্তি পরিদর্শন করেছি। এই শহরের মেয়র হিসেবে আমি বলতে চাই, পুনর্বাসন ব্যতীত কোনো বস্তি উচ্ছেদ করা হবে না।’
মেয়র আরও বলেন, ‘এখন সময় এসেছে কড়াইল, ভাষানটেক, সাততলা বস্তিসহ ঢাকার অন্যান্য বস্তি উন্নয়ন করার। বস্তিতে কেউ জায়গা নিয়ে, কেউ ভাড়া নিয়ে আছে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী উন্নয়ন করতে হবে। বস্তিতে মাঠ-পার্ক থাকবে, বিদ্যালয় থাকবে।’
আলোচনায় ডিএনসিসির মেয়র বলেন, ‘জলবায়ু উদ্বাস্তুর বিষয়গুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে এই সংলাপের আয়োজন। বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় আসা জলবায়ু উদ্বাস্তুদের সমস্যার কথা জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্বের নেতা ও মেয়রদের কাছে তুলে ধরা হবে। বিশ্বনেতাদের কাছে বার্তা হচ্ছে—আমাদের থাকার, শিক্ষার, সুস্থ বাতাসের, সামাজিক নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশের ব্যবস্থা করতে হবে।’
জলবায়ু উদ্বাস্তুদের দুর্দশার কথা উল্লেখ করে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ফোরামের কাছে প্রশ্ন রাখব—ঘূর্ণিঝড়ে, জলোচ্ছ্বাসে, বন্যায়, খরায় কিংবা নদীভাঙনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের দায়িত্ব কে নেবে? জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে হওয়া লোকসান ও ক্ষতির (লস অ্যান্ড ড্যামেজ) দায়িত্ব উন্নত বিশ্বকে নিতে হবে। ঢাকায় আগত জলবায়ু উদ্বাস্তুদের একটি তথ্যভান্ডার তৈরি করা হবে। ইউএনডিপিকে অনুরোধ করি, এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার।’
ঢাকা উত্তর সিটির সহকারী নগর–পরিকল্পনাবিদ ফারজানা ববির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ইউএনডিপি বাংলাদেশের ডেপুটি আবাসিক প্রতিনিধি সোনালি দয়ারত্ন, ব্রিটিশ হাইকমিশনের জলবায়ু ও পরিবেশবিষয়ক টিম লিডার অ্যালেক্স হার্ভে, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, ইমেরিটাস অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার, স্থপতি সালমা এ শফি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।