কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘাতের ঘটনায় আজ শুক্রবার রাজধানীর রামপুরা-বাড্ডা এলাকায় তিন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
নিহত তিনজন হলেন আবদুল গনি, রাকিব ও রাসেল। আবদুল গনি (৪৫) ও রাকিবকে (২২) আজ দুপুর দুইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। পরীক্ষা শেষে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। অন্যদিকে রাসেলকে মৃত ঘোষণা করা হয় রামপুরার ফরাজী হাসপাতালে।
আবদুল গনিকে বাড্ডা থেকে হাসপাতালে আনা হয়। ছেলে আল আমিন বলেন, তাঁর বাবা গুলশানের একটি হোটেলে স্যানিটারি মিস্ত্রির কাজ করতেন। আজ সকালে উত্তর বাড্ডার বাসা থেকে বের হন। পরে তাঁরা তাঁর গুলিবদ্ধ হওয়ার খবর পান।
রাকিবকে মেরুল বাড্ডা-রামপুরা ব্রিজের মধ্যবর্তী আফতাবনগর এলাকা থেকে হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর মাথায় আঘাত দেখা গেছে। এক স্বজন জানান, রাকিব বিদ্যুতের কাজ করতেন। গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে। বাবার নাম চাঁন মিয়া। তাঁর মাথায় আঘাত দেখা গেছে।
রাসেলের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। রামপুরার ফরাজী হাসপাতাল সূত্র জানায়, তাঁকে জুমার নামাজের পর আনা হয়। এই হাসপাতালে আজ প্রায় ২০০ জনকে আহত অবস্থায় আনা হয়।
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সর্বাত্মক অবরোধ (কমপ্লিট শাটডাউন) কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকাসহ সারা দেশ প্রায় অচল হয়ে পড়ে। রাজধানী ছাড়াও দেশের ৪৭টি জেলায় গতকাল দিনভর বিক্ষোভ, অবরোধ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, পুলিশের হামলা-গুলি ও সংঘাতের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় গতকাল ২৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। গতকাল শুধু ঢাকাতেই ১৯ জন নিহত হয়েছেন। বাকি ৮ জন চট্টগ্রাম, নরসিংদী, মাদারীপুর, সিলেট, রংপুর ও ঢাকার সাভারে নিহত হয়েছেন। গতকাল আহত হয়েছেন অন্তত দেড় হাজার।
আজ শুক্রবারও সারা দেশে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ। এদিকে রাজধানীতে আজ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।