ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাবি সিনেটের অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্য থেকে ‘একনায়কতন্ত্র’ শব্দ প্রত্যাহার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘একনায়কতন্ত্র’ চলছে বলে সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে অভিযোগ করেন বিএনপিপন্থী একজন শিক্ষকনেতা। এর প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্যটি প্রত্যাহারের (এক্সপাঞ্জ) দাবি তোলেন আওয়ামী লীগপন্থী কয়েকজন সিনেট সদস্য। পরে উপাচার্য ‘একনায়কতন্ত্র’ শব্দটি প্রত্যাহার করেন।

বুধবার রাতে সিনেটের অধিবেশনে এ ঘটনা ঘটে। বিএনপিপন্থী ওই শিক্ষকনেতা হলেন এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম। তিনি পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপিপন্থী শিক্ষক সংগঠন সাদা দলের সাবেক আহ্বায়ক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিরও সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

সিনেটে বক্তব্য দিতে গিয়ে এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একনায়কতন্ত্র চলছে, একদলীয় প্রশাসন বিরাজ করছে। প্রত্যেক জায়গায় একচ্ছত্র আধিপত্য একটি দলের। কোনো জায়গায় ভিন্নমতের শিক্ষকদের কোনো অবস্থান নেই। ভিন্নমতের ছাত্রসংগঠনকেও ক্যাম্পাসে নিপীড়ন-নির্যাতন করা হয়। হলে থাকতে দেওয়া হয় না।’

পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে সিনেট সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাহালুল মজনুন চুন্নু ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একনায়কত্ব চলছে’ এই কথাটি প্রত্যাহারের দাবি জানান। তাঁর সঙ্গে আরেকজন সিনেট সদস্য সায় দেন। পরে ওবায়দুল ইসলামের বক্তব্য থেকে ‘একনায়কতন্ত্র’ শব্দটি প্রত্যাহার করেন উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল।

বিকেল তিনটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলা সিনেটের এই অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট উপস্থাপন করেন কোষাধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। বিভিন্ন ক্যাটাগরি থেকে নির্বাচিত সিনেট সদস্যরা এতে অংশ নেন। তবে পাঁচ বছর ধরে ডাকসু নির্বাচন না হওয়ায় কোনো ছাত্র-প্রতিনিধি এই অধিবেশনে ছিলেন না।

অধিবেশনে বেশ কয়েকজন সিনেট সদস্য নানা দাবি ও বক্তব্য তুলে ধরেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিল বা স্থগিতের পক্ষে সিনেটে প্রস্তাব পাস, শর্ত শিথিল করে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া ডিবিএ ডিগ্রি বাতিল, ডাকসু নির্বাচন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক ও একাডেমিক স্বায়ত্তশাসনের বজায় রাখা।