হেনস্তা ও মারধরের শিকার হওয়ার ঘটনায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজের শহীদ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা ছাত্রীনিবাসের সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ছাত্রলীগের এক নেত্রী। এদিকে গতকাল শনিবার রাত থেকে ইডেনে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভে তৈরি হওয়া উত্তেজনাকর পরিস্থিতিকে ‘বিশৃঙ্খলা’ বলে আখ্যা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
ঘটনা তদন্তে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলে জমা দিতে বলা হয়েছে।
সিট–বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির অভিযোগ করে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ায় গতকাল রাতে সহসভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসকে বঙ্গমাতা ছাত্রীনিবাসের একটি কক্ষে আটকে রেখে হেনস্তা ও মারধরের অভিযোগ ওঠে ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় গতকাল মধ্যরাত থেকে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের অবস্থানে কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনা তৈরি হয়। এ ঘটনায় আজ রোববার সকালে বঙ্গমাতা ছাত্রীনিবাসের সুপার নাজমুন নাহার বরাবর অভিযোগ করেন ছাত্রলীগ নেত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস। নাজমুন নাহার বলেন, লিখিত অভিযোগটি (ইডেন কলেজের) অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যকে পাঠিয়েছি।
সকালেই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইডেন কলেজের ‘বিশৃঙ্খলার’ তদন্তে দুই সদস্যের কমিটি করার কথা জানান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি তিলোত্তমা শিকদার ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজির হোসেনকে এ কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
এ কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন সংগঠনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আল নাহিয়ান ও লেখক।
এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে কল করে সাড়া মেলেনি ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার। চলতি মাসে তাঁদের বিরুদ্ধে কলেজের ছাত্রীনিবাসে সিট–বাণিজ্য ও ছাত্রী নির্যাতনের একাধিক অভিযোগের খবর গণমাধ্যমে এসেছে।