রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় আহত আরেক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর নাম–পরিচয় জানা যায়নি। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তাঁর মৃত্যু হয়।
প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশের নিউমার্কেট অঞ্চলের সহকারী কমিশনার রেফাতুল ইসলাম। তিনি বলেন, সায়েন্স ল্যাব এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় দুজন মারা গেছেন।
বেলা দুইটায় থেকে ওই এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে জড়িত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষ চলছে। এর আগে বিকেলে ঢাকা কলেজের সামনে একদল লোক এক যুবককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আনুমানিক ২৫ বছর বয়সী ওই যুবকের পরিচয় জানা যায়নি।
সন্ধ্যায় যাঁর মৃত্যু হয়েছে, তাঁর বয়সও ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। তিনি আহত অবস্থায় সিটি কলেজের সামনে রাস্তায় পড়ে ছিলেন বলে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন, পথচারীরা ওই যুবককে উদ্ধার করে প্রথমে পাশের পপুলার হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর পরনে ছিল কালো জিনসের প্যান্ট ও কালো গেঞ্জি।
ওই যুবকের মৃতদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন, নিহত যুবকের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ওই এলাকায় সংঘর্ষের মধ্যে এই দুজনের মৃত্যুসহ অন্তত পাঁচ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও শতাধিক শিক্ষার্থী। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন যে বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের অবস্থান থেকে তাঁদের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে পাঁচ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হন।
সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে আজ চট্টগ্রাম ও রংপুরে সংঘর্ষে আরও চারজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রামে তিনজন ও রংপুরে একজন রয়েছেন। দুপুরের পর ঢাকার বেশ কয়েকটি এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে আরও কয়েক শ মানুষ আহত হয়েছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনে যুক্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের মধ্যে এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এখনো অনেক জায়গায় সংঘর্ষ চলছে।