ঈদযাত্রার ষষ্ঠ দিন আজ সোমবার ভোর ৪টা ৪০ মিনিট থেকে বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ১৮টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে অন্তত দুটি ট্রেন কিছুটা দেরিতে ছেড়েছে।
আজ সকাল থেকে বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত দেখা গেছে, কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের তেমন চাপ নেই। ট্রেনের ছাদে চেপে কেউ গন্তব্যে যাচ্ছেন না।
খোঁজ নিয়ে ও সরেজমিন দেখা যায়, পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস আধা ঘণ্টা দেরি করে স্টেশন ছাড়ে। আর লালমনিরহাটগামী বুড়িমারী এক্সপ্রেস আধা ঘণ্টার বেশি দেরিতে স্টেশন ছাড়ে।
কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ‘ট্রেন দুটি আসতে দেরি করেছে। সে জন্য ছাড়তেও একটু দেরি হয়েছে। বাকি ট্রেন যথাসময়ে ছেড়ে গেছে।’
আজ সকালে দেখা যায়, কমলাপুর রেলস্টেশন অনেকটাই ফাঁকা। ট্রেন ছাড়ার সময় স্টেশনে কিছুটা ভিড় হচ্ছিল। ছেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার স্টেশন ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। কোনো ট্রেনের ছাদে চেপে যাত্রীরা গন্তব্যে যাচ্ছেন না।
জামালপুর এক্সপ্রেস সকাল ১০টায় ছাড়ার কথা ছিল। সেটি যথাসময়ে স্টেশন ছেড়ে যায়। জামালপুর যাওয়ার জন্য স্ত্রী-সন্তান নিয়ে এই ট্রেনে যাত্রী হন বেসরকারি চাকরিজীবী দেলোয়ার হোসেন। ছাড়ার সময় তিনি বলছিলেন, ‘ট্রেন সঠিক সময়ে ছাড়ল, দেরি করেনি।’
একতা এক্সপ্রেস সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে ছাড়ার কথা ছিল। সেটি কমলাপুর ছেড়ে যায় বেলা পৌনে ১১টায়। ছাড়ার কিছু আগে ট্রেনের যাত্রী হাসান আলী বলেন, ‘দিনাজপুরের ফুলবাড়ী যাব। কিন্তু ট্রেন ছাড়তে দেরি করছে।’
সকালে দেখা যায়, স্ট্যান্ডিং টিকিট (দাঁড়িয়ে যাত্রার টিকিট) কাউন্টারের সামনে সারি। তবে বাড়তি চাপ নেই।
কোনো ট্রেন ছাড়ার দুই ঘণ্টা আগে থেকে স্ট্যান্ডিং টিকিট দেওয়া হয়। একটি ট্রেনের ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি করা হয়।
কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের স্ট্যান্ডিং টিকিটের জন্য সকাল পৌনে ৮টায় স্টেশনে আসেন মো. সেলিম। তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রি শুরু। তাই কিছুটা আগেই তিনি স্টেশনে আসেন। ঝক্কি–ঝামেলা ছাড়াই টিকিট পেয়েছেন।