গাবতলীতে বাসের কাউন্টারগুলোতে ঈদযাত্রার আগাম টিকিট কাটতে আসা মানুষের নেই কোনো ভিড়
গাবতলীতে বাসের কাউন্টারগুলোতে ঈদযাত্রার আগাম টিকিট কাটতে আসা মানুষের নেই কোনো ভিড়

গাবতলীতে নেই ঈদযাত্রার টিকিট কাটার ভিড়

রাজধানীর গাবতলী আন্তজেলা বাস টার্মিনালের ভেতরের কাউন্টারগুলো থেকে মূলত দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর বাসের টিকিট বিক্রি হয়। এই বাসগুলো দৌলতদিয়া–পাটুরিয়া নৌপথের ফেরি পারাপার হয়ে চলাচল করে। অতীতে আগাম টিকিটের জন্য এসব কাউন্টারের সামনে ভোর থেকে লেগে থাকত মানুষের দীর্ঘ সারি। অথচ এ বছর গাবতলীতে টিকিটপ্রত্যাশীদের কোনো ভিড় নেই। এর একটি কারণ পদ্মা সেতু, আরেকটি হলো অনলাইনে টিকিট কাটার সুযোগ।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী বিভিন্ন বাসের কাউন্টারের পরিবহনকর্মীদের ভাষ্য, ফেরিপথে যেতে সময় ও খরচ বেশি লাগে। অন্যদিকে পদ্মা সেতু হয়ে এসব জেলায় যাতায়াতে সময় ও খরচ কম পড়ে।  আর এবার বড় পরিবহন কোম্পানিগুলো নিজেদের বাসের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করছে।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২২ মার্চ থেকে বাসের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।

আজ রোববার সকালে গাবতলী টার্মিনাল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, খুলনা, যশোর, মেহেরপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী ও ফরিদপুরের মতো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর বাসের কাউন্টারগুলো ফাঁকা। তবে মাঝেমধ্যে দু-একজন যাত্রী অগ্রিম টিকিটের জন্য টার্মিনালে আসছেন।

সোহাগ পরিবহন লিমিটেডের কাউন্টার ম্যানেজার ইসমাইল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর গাবতলীতে যাত্রী এমনিতেই কম। ফেরি পারাপার হয়ে যাত্রীরা যেতে চান না। ফেরি পারাপার হয়ে খুলনা যেতে ৮ ঘণ্টা লাগে, অথচ পদ্মা সেতু দিয়ে ৪ ঘণ্টায় যাওয়া যায়। তবে ঈদের সময় মোটামুটি যাত্রী পাওয়া যায়। এবার অনেকেই অনলাইনে টিকিট নিয়েছেন।

গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একাধিক কাউন্টার রয়েছে গাবতলী আন্তজেলা টার্মিনালে। এর মধ্যে একটি কাউন্টার থেকে ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে। সেই কাউন্টারের ম্যানেজার প্রশান্ত সাহা প্রথম আলোকে বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে গাবতলীতে আর আগের মতো ভিড় কখনোই হবে না। ঈদের আগে গাবতলী থেকে গোল্ডেন লাইন কোম্পানির প্রতিদিন ৩৪টি ট্রিপ যাবে। এর মধ্যে ১৩টি ফরিদপুরের। ফরিদপুরের যাত্রীরা যাওয়ার আগে তাৎক্ষণিক টিকিট কাটেন।

গাবতলীতে বাসের কাউন্টারগুলোতে ঈদযাত্রার আগাম টিকিট কাটতে আসা মানুষের নেই কোনো ভিড়

গাবতলী আন্তজেলা টার্মিনালের বাইরে বড় পরিবহন কোম্পানিগুলোর কাউন্টারেও ঈদযাত্রার টিকিট কিনতে যাত্রীদের ভিড় নেই। গাবতলীর বাগবাড়ি এলাকায় ইউনিক সার্ভিসের কাউন্টারে টিকিট কাটতে আসেন রুনা আকতার। তিনি শেওড়াপাড়ার একটি বিউটি পারলারে কাজ করেন। রুনা প্রথম আলোকে বলেন, ‘৮ এপ্রিল রাতের সিলেটের টিকিট কিনেছি। আগে ৭০০ টাকা দিয়ে যেতাম, আজকেও তাই নিয়েছে।’

ইউনিক পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার সোহেল রানা বলেন, ৪ এপ্রিল সন্ধ্যার পর থেকে টিকিটের চাপ বেশি। আর ৭ এপ্রিলের টিকিটের চাহিদা বেশি। এই দুই দিনের প্রায় সব টিকিটই বিক্রি হয়ে গেছে।

এবার বড় পরিবহন কোম্পানিগুলো নিজেদের বাসের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করছে। গাবতলীর খালেক সিটি মসজিদের পাশে নাবিল পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার অভি আহমেদ বলেন, এবার নাবিল পরিবহনের প্রায় সব টিকিট সহজ ডটকমের মাধ্যমে অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে। ফলে যাত্রীদের কাউন্টারে আসতে হয়নি।