যুবদলের নেতা শামীম মোল্লা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সচিব মহিবুল হককে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) জিয়াদুর রহমান আজ রোববার এ আদেশ দেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন বিভাগের উপপরিদর্শক রোকনুজ্জামান প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২১ নভেম্বর শামীম মোল্লা হত্যা মামলায় মহিবুল হককে পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। সেই আবেদনের শুনানি হয় আজ। অপর দিকে আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ড আবেদন নাকচ করে জামিন আবেদন করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বলা হয়, শামীম মোল্লা হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য সাবেক সচিব মহিবুল হককে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ জরুরি।
অপর দিকে মহিবুল হকের আইনজীবী আমিনুল গণী আদালতকে বলেন, হয়রানির উদ্দেশ্যে তাঁর মক্কেলকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলার এজাহারে মহিবুল হকের নাম নেই। তিনি ২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি অবসরে গেছেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত মহিবুল হককে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।
রাজধানীর নয়াপল্টনে গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিন যুবদলের নেতা শামীম মোল্লাকে হত্যা করা হয়—এমন অভিযোগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৭০৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ছাত্রদলের সাবেক সদস্য মো. আব্বাস আলী বাদী হয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর এ মামলা করেন।
মহিবুল হকের আইনজীবী আমিনুল গণী সাংবাদিকদের জানান, শামীম মোল্লা হত্যা মামলার বাদী ও ছাত্রদলের সাবেক সদস্য মো. আব্বাস আলী আজ আদালতে হাজির হয়ে হলফনামা জমা দিয়েছেন। লিখিতভাবে তিনি আদালতকে জানিয়েছেন, শামীম মোল্লা হত্যা মামলায় তিনি সাবেক মহিবুল হককে সন্দেহ করেন না।
পল্টন থানায় করা শামীম মোল্লা হত্যা মামলায় ২০ নভেম্বর রাতে মহাখালীর ডিওএইচএস এলাকা থেকে মহিবুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।