রাজধানীর শাহবাগ মোড় সাত ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের কর্মচারীরা
রাজধানীর শাহবাগ মোড় সাত ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের কর্মচারীরা

৭ ঘণ্টা পর শাহবাগ ছাড়লেন অবরোধকারীরা, যান চলাচল স্বাভাবিক

সাত ঘণ্টা অবরোধের পর রাজধানীর শাহবাগ মোড় ছেড়ে গেছেন বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের কর্মচারীরা। তবে যাওয়ার আগে দাবি মানার জন্য সরকারকে ১৫ দিনের আলটিমেটাম (সময়সীমা) বেঁধে দিয়েছেন তাঁরা। শাহবাগে যান চলাচল এখন স্বাভাবিক রয়েছে।

চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে আজ শনিবার সকাল ১০টা থেকে আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের ব্যানারে আউটসোর্সিং কাজে নিযুক্ত শত শত কর্মী শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। বিকেল চারটার দিকে তাঁদের ছয়জনের একটি প্রতিনিধিদল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় যান। সেখান থেকে ফিরে এসে বিকেল পাঁচটার দিকে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তাঁরা। অবরোধ চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে ছিলেন।

বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তাই অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে।

রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে কোনো কর্মচারী প্রতারণার শিকার হলে সরকারকে জানাতে বলা হয়েছে। তদন্ত করে এমন কাউকে জড়িত পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সব সমস্যার সমাধান করা হবে, এসব আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আজকের কর্মসূচি তুলে নেওয়া হয়।

অবরোধকারীরা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর, অধিদপ্তরের সব প্রতিষ্ঠানে আউটসোর্সিং প্রকল্পে কর্মরতদের চাকরি স্থায়ী করার এক দফা দাবি জানিয়েছেন।

দুপুরে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি শাহবাগ এসে অবরোধকারীদের প্রতি সংহতি জানান এবং সরকারকে দাবি মেনে নিতে আহ্বান জানান।

অবরোধ চলাকালে শাহবাগ ও এর আশপাশের রাস্তায় প্রচণ্ড যানজটের সৃষ্টি হয়। অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে ঘুরে অন্য রাস্তা দিয়ে যেতে হয়। সায়েন্স ল্যাব থেকে শাহবাগে আসার রাস্তা ও বাংলামোটর থেকে শাহবাগে আসার রাস্তাও যানজটে স্থবির হয়ে যায়। যানজটের প্রভাব পড়ে ফার্মগেট থেকে বাংলামোটরমুখী সড়কেও।