ঢাকার রাস্তায় মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ ভুবন চন্দ্র শীলের (৫২) মাথায় অস্ত্রোপচারের ১৮ ঘণ্টা পরও তাঁর জ্ঞান ফেরেনি। কখন জ্ঞান ফিরবে, এ বিষয়ে চিকিৎসকেরাও কোনো ধারণা দিতে পারছেন না। ধানমন্ডির বেসরকারি পপুলার হাসপাতালে গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ৯টা থেকে পৌনে ১২টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টা এই অস্ত্রোপচার চলে।
এদিকে ভুবন চন্দ্র শীলের চিকিৎসার খরচ জোগাতে পরিবারকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এরই মধ্যে হাসপাতালের বিল ছয় লাখ টাকা পেরিয়ে গেছে বলে জানান ভুবন চন্দ্র শীলের স্ত্রী রত্না রানী শীল। তিনি বলেন, চিকিৎসকেরা বলছেন ৭২ ঘণ্টা পার না হলে কিছুই বলা যাচ্ছে না। অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে কি না, সেটি ৭২ ঘণ্টা পর চিকিৎসকেরা জানাবেন। এর আগে চিকিৎসকেরা কিছু বলতে পারবেন না। আর ভুবনকে হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে অনেক টাকা বিল হয়েছে। এত টাকার সংস্থান কীভাবে হবে, সেটি নিয়েও দুশ্চিন্তা হচ্ছে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, গুলিতে ভুবনের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে তাঁর অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। এখনো তিনি শঙ্কামুক্ত নন। পরিবারের সম্মতি নিয়েই তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
গত সোমবার রাত ১০টার দিকে তেজগাঁও শিল্প এলাকার বিজি প্রেসের সামনের রাস্তায় শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাঈদ ওরফে মামুনের প্রাইভেট কার লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে একদল সন্ত্রাসী। সেই সময় ওই পথ দিয়ে মোটরসাইকেলে করে আরামবাগে নিজের বাসার পথে থাকা ভুবন মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। তখন ভুবনকে প্রথমে শমরিতা হাসপাতালে, পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত দেড়টার দিকে ভুবনকে পপুলার হাসপাতালে স্থানান্তর করেন স্বজনেরা। সেখানে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।