জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কার চায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি

কোটাব্যবস্থার দ্রুত, যৌক্তিক ও আইনানুগ সংস্কার করে সরকারি চাকরিতে সমতার সুযোগ সৃষ্টি করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

আজ বৃহস্পতিবার শিক্ষক সমিতি এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানায়। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘটিত নৃশংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক সমিতি উদ্বেগ, প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছে।

শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমিন উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মাশরিক হাসানের সই করা বিবৃতিতে শিক্ষক সমিতি কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সহিংস ঘটনায় পরিণত করে যে স্বার্থান্বেষীমহল দেশব্যাপী নৈরাজ্য-অরাজকতা সৃষ্টি করেছে, শিক্ষার্থীদের প্রাণহানি ঘটিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়, অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকজন শিক্ষকের ওপর হামলা হয়েছে। এসব ঘটনায় শিক্ষক সমিতি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, মর্মাহত, শোকাহত।

এসব ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি। তারা বলছে, যেসব নিরপরাধ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী হতাহত হয়েছেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে তাঁদের সবার সুচিকিৎসাসহ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বুধবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে স্পষ্টভাবে বলেছেন, তাঁর বিশ্বাস, ছাত্রসমাজ উচ্চ আদালত থেকে ন্যায়বিচারই পাবে। তাদের হতাশ হতে হবে না। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের ওপর আস্থা রেখে চলমান সংকটের দ্রুত নিরসন হবে বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে শিক্ষক সমিতি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কোটাব্যবস্থার দ্রুত, যৌক্তিক ও আইনানুগ সংস্কার করে মেধাবী শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকরিতে সমতার সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। একই সঙ্গে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানহানি হয়, এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি।