আশ্বাসে ‘শান্ত’ হওয়া ইডেনের বহিষ্কৃত নেত্রীরা বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের অপেক্ষায়

সংবাদ সম্মেলন শেষে ইডেনের বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেত্রীরা ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনশনের উদ্দেশ্যে রওনা হন। গতকাল দুপুরে রাজধানীর আজিমপুরে ইডেন মহিলা কলেজের সামনে
ছবি: দীপু মালাকার

ক্যাম্পাসে পাল্টাপাল্টি অবস্থান ও সংঘর্ষের ঘটনায় ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত ১২ নেত্রী গতকাল সোমবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে ‘আশ্বাস’ নিয়ে ফিরেছিলেন।

‘শান্ত’ হয়ে ক্যাম্পাসে ফিরলেও এরপর আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল কোনো পর্যায় থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। ওই নেত্রীরা এখন তাঁদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের অপেক্ষায় আছেন।

ছাত্রলীগের অন্তঃকোন্দলে গত শনিবার রাত থেকে শুরু করে রোববার দিনভর উত্তপ্ত ছিল ইডেন কলেজ ক্যাম্পাস। রোববার সন্ধ্যায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রীভা, সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানাসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। এ ঘটনায় রোববার রাতে ইডেন কলেজ কমিটি স্থগিত এবং সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিরোধীপক্ষের ১২ নেত্রীসহ ১৬ নেতা-কর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

বহিষ্কারের প্রতিক্রিয়ায় গতকাল দুপুরে ‘বিনা তদন্তে বহিষ্কার, নেপথ্যে কারা’ শিরোনামে ইডেন কলেজ ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করেন বহিষ্কৃত নেত্রীরা। সেখানে বহিষ্কারাদেশকে ‘ভিত্তিহীন’ আখ্যা দিয়ে তা দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানান তাঁরা।

সংবাদ সম্মেলনের পর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আমরণ অনশন করতে যান তাঁরা। গতকাল দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে তাঁরা কার্যালয়ে ঢোকেন। তখন তাঁরা সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। এক ঘণ্টা ভেতরে অবস্থানের পর বেলা ১টা ৪০ মিনিটের দিকে তাঁরা বের হয়ে আসেন।

কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর ইডেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি (সদ্য বহিষ্কৃত) জান্নাতুল ফেরদৌস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বিষয়গুলো বড় ভাইদের জানাতে এসেছিলাম। জানিয়ে এখন চলে যাচ্ছি।

সমস্যা সমাধানে তাঁরা দায়িত্ব নিয়েছেন। আমরা কোনো অনশনে নেই। আমাদের কোনো কর্মসূচি নেই।’ তবে ভেতরে কার সঙ্গে আলোচনা করেছেন, সে ব্যাপারে তিনি সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি। ‘বড় ভাইদের’ সঙ্গে কথা বলার পর ক্যাম্পাসে ফিরছেন বলেও জানান জান্নাতুল।