আবেদনকারীর কাছে ভবন নির্মাণের অনাপত্তিপত্র তুলে দেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। ঢাকা, ২ মে
আবেদনকারীর কাছে ভবন নির্মাণের অনাপত্তিপত্র তুলে দেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। ঢাকা, ২ মে

রাজধানীতে প্রথমবারের মতো ভবন নির্মাণে অনাপত্তিপত্র দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি

প্রথমবারের মতো রাজধানীতে একটি ভবন নির্মাণে অনাপত্তি দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। কামরাঙ্গীরচর এলাকার একটি ভবন নির্মাণের ওপর অনাপত্তি দিয়েছে সংস্থাটি। সাধারণত রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ঢাকায় ভবন নির্মাণের অনুমতি দেয়। সেখানে সিটি করপোরেশনের অনাপত্তির দরকার হয় না। তবে এই ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম ঘটল এত দিন ওই এলাকায় ভবন নির্মাণের অনুমতি না দেওয়ার পক্ষে সিটি করপোরেশনের অবস্থানের কারণে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনে দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস আবেদনকারীর কাছে অনাপত্তিপত্র হস্তান্তর করেন।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সূত্র বলছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন চিঠি দিয়ে তাদের জানায় যে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় (৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড) একটি পরিকল্পিত কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক অঞ্চল (সিবিডি) গড়ে তোলার কার্যক্রম চলছে। তাই সিবিডি চূড়ান্ত হওয়ার আগে সেখানে নতুন ভবন বা স্থাপনা নির্মাণ করা হলে জটিলতা হতে পারে। তাই কামরাঙ্গীরচর এলাকায় নতুন কোনো ভবন বা স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি দেওয়া স্থগিত রাখতে রাজউককে বিশেষভাবে অনুরোধ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি।

২০২১ সালের অক্টোবর মাসেও রাজউককে এ বিষয়ে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি। এর মধ্যে মেয়র কামরাঙ্গীরচর এলাকায় নতুন বাণিজ্যিক অঞ্চল তৈরির ঘোষণা দেন। এতে গুজব ওঠে কামরাঙ্গীরচর এলাকার বাড়িঘর উচ্ছেদ করে সেখানে বাণিজ্যিক অঞ্চল তৈরি করা হবে। এর প্রতিবাদে সেখানকার বাসিন্দারা বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করেছেন। পরবর্তী সময়ে মেয়র বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করেন যে কামরাঙ্গীরচরে কোনো ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করা হবে না।

এরপরও ভবন নির্মাণের অনুমোদন না পাওয়ায় কামরাঙ্গীরচরের বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এমন প্রেক্ষাপটে ভবন নির্মাণের জন্য অনাপত্তিপত্র চেয়ে নেয়ামতুল্লাহ নামের এক ব্যক্তি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে আবেদন করেন। পরে মেয়রের নির্দেশে করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও কর্মকর্তারা আবেদনটি যাচাই-বাছাই করার পর আবেদনটি অনুমোদন করেন মেয়র।