ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে তেল কম দেওয়ার অভিযোগ করলেন শেখ ইসতিয়াক আহমেদ। গতকাল সোমবার তিনি রাজধানীর কল্যাণপুরে একটি ফিলিং স্টেশনে তেল কম দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে সেখানে সাত ঘণ্টা অবস্থান করেছিলেন।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এসে লিখিত অভিযোগ করেন ইসতিয়াক আহমদ। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা তাঁর কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ শুনেছেন। তারপর তিনি ভোক্তা অধিকারের ফরমে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তাঁর আশা, অভিযোগের তদন্ত করে ব্যবস্থা নিলে হাজারো মোটরসাইকেলচালক দীর্ঘদিনের অনিয়ম থেকে রেহাই পাবেন।
ইসতিয়াকের অভিযোগের পর জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান তাঁর কার্যালয়ে ইসতিয়াক আহমেদের সঙ্গে কথা বলেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, তাঁরা অভিযোগ পেয়েছেন। অভিযোগের আলোকে দুই পক্ষকে তিনি আগামী বৃহস্পতিবার শুনানি করে ব্যবস্থা নিবেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, অনেক দিন ধরে ফিলিং স্টেশনগুলোয় তেলের মান ও পরিমাপ নিয়ে অভিযোগ আসছে। তাঁরা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) সঙ্গে কথা বলে সারা দেশে অভিযান পরিচালনা করবেন।
গতকাল মাপে জ্বালানি তেল কম দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর কল্যাণপুরে সোহরাব সার্ভিস স্টেশনের সামনে সাত ঘণ্টা ধরে অবস্থান করেন ইসতিয়াক আহমেদ। তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা।
ইসতিয়াকের অভিযোগ, গতকাল সকাল ১০টার দিকে মিরপুরের বিআরটিএ কার্যালয়ে যাওয়ার পথে ৪ নম্বর দক্ষিণ কল্যাণপুরের সোহরাব সার্ভিস স্টেশন থেকে ৫০০ টাকার অকটেন নেন।
সামনে মিটার থাকলেও তেল সরবরাহকারী ব্যক্তি মো. আকাশ তাঁকে পেছনে দাঁড়াতে বলেন। পরে তিনি বুঝতে পারেন তাঁর সঙ্গে কারসাজি করা হয়েছে। ইসতিয়াকের দাবি, ৫০০ টাকার ভাউচার পেলেও ৩০০ টাকার বেশি তেল তিনি পাননি।