রাজধানীতে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে তিন মামলা, গয়েশ্বরসহ ৯৮ আসামি

বিএনপির কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ছেন। গতকাল রাজধানীতে পদযাত্রা কর্মসূচির সময়
ফাইল ছবি

রাজধানীর সিটি কলেজ ও সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার পদযাত্রা কর্মসূচি পালনের সময় বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। গতকাল রাতে ধানমন্ডি থানায় দুটি ও নিউমার্কেট থানায় একটি মামলা হয়েছে। তিন মামলায় অন্তত ৬৩ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, নিউমার্কেট থানার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ মামলায় ৪০০–৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা দুই মামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলমসহ ৫২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া কয়েক শ ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এ দুই মামলায় ২৭ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী প্রথম আলোকে বলেন, দুটি মামলারই বাদী পুলিশ। একটি মামলায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্য মামলায় নাশকতার অভিযোগ আনা হয়েছে।

পুলিশের নিউমার্কেট অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) শাহেন শাহ প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের ওপর হামলা এবং গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় ৩৬ থেকে ৩৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা মামলায় গয়েশ্বর চন্দ্রের পাশাপাশি বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন অসীম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী শফু, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলকেও আসামি করা হয়েছে।

সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে গতকাল ঢাকা উত্তর, দক্ষিণসহ বিভিন্ন মহানগরে পদযাত্রার কর্মসূচি ছিল বিএনপির। ঢাকায় কর্মসূচি ছিল ধানমন্ডি ও গাবতলী এলাকায়। ধানমন্ডির শংকর এলাকায় বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সড়কে সমাবেশ শেষে বেলা তিনটায় পদযাত্রা শুরু হয়। সেটি জিগাতলা, সিটি কলেজ হয়ে ল্যাবএইড হাসপাতাল পর্যন্ত গিয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল। পদযাত্রাটি সিটি কলেজ এলাকায় পৌঁছালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বিআরটিসির একটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।