পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে টানা দুই দিন বন্ধ থাকতে পারে মেট্রোরেল। এমনিতে শুক্রবার মেট্রোরেলের সাপ্তাহিক ছুটি। আর ঈদের দিন মেট্রোরেল চালাবে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফলে আগামী বৃহস্পতিবার ঈদ অনুষ্ঠিত হলে টানা দুই দিন মেট্রোরেল বন্ধ থাকবে।
পবিত্র রমজান মাস ২৯ দিনে হলে ঈদুল ফিতর হবে আগামী বুধবার। তবে রমজান ৩০ দিনে হলে ঈদ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। এবার ৩০টি রোজা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাই বৃহস্পতিবার ঈদ ধরেই অফিস–আদালত ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বলছে, সংস্থাটির নিজস্ব কর্মীদের দিয়ে মেট্রোরেল চালানো হচ্ছে। স্বাভাবিকের চেয়ে তাদের কর্মীর সংখ্যা কম। ফলে ঈদের দিন মেট্রোরেল চালু রাখলে প্রায় সবাইকে ঈদ বাদ দিয়ে কাজে ব্যস্ত থাকতে হবে।
কর্তৃপক্ষের ভাষ্য অনুযায়ী, ঈদের দিন বিকেলের আগে যাত্রীর চাহিদা খুবই সামান্য থাকার কথা। ফলে বর্তমান সূচি অনুযায়ী বিকেলের আগপর্যন্ত এক শর বেশি ট্রেনে আশানুরূপ যাত্রী পাওয়া যাবে না। এতে খরচের বোঝাও বাড়বে। ঈদের পরদিন শুক্রবার হলে জুমার আগপর্যন্ত মানুষ খুব একটা বের হবে না। ফলে রাস্তা ফাঁকা থাকা থাকবে। মেট্রোরেলে যাত্রীও পাওয়া যাবে না। তাই বিকেলের কিছু যাত্রীর জন্য সাপ্তাহিক ছুটি বাদ দিতে চাইছে না কর্তৃপক্ষ।
ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি (ডিএমটিসিএল) লিমিটেডে। সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, ঈদ চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। আর শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি বহাল রাখবেন তাঁরা। ফলে পরপর দুদিন মেট্রোরেল বন্ধ থাকার সম্ভাবনা আছে।
এম এ এন সিদ্দিক বলেন, বিপুলসংখ্যক মানুষ ঢাকা ছাড়ছেন। ঈদের আগের দু–তিন দিন যাত্রী পাওয়া যাবে না। এরপরও মেট্রোরেলের স্বাভাবিক চলাচল অব্যাহত রাখতে হচ্ছে। তাই ঈদের দিন মেট্রোরেল বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
ডিএমটিসিএল সূত্রমতে, রমজানের প্রথমার্ধে প্রতিদিন গড়ে মেট্রোরেলে ২ লাখ ৪৬ হাজার যাত্রী চলাচল করেছে। রমজানের আগে সংখ্যাটা ছিল ২ লাখ ৯৫ হাজারের মতো। ১৬ রমজান থেকে মেট্রোরেলের চলাচল এক ঘণ্টা বাড়ানোর পর যাত্রী আরও বেড়েছে। গত পাঁচ দিনে গড়ে ২ লাখ ৯০ হাজার করে যাত্রী চলাচল করেছে।