প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় নির্মিত কালশী উড়ালসড়কটি যান চলাচলের জন্য উদ্বোধন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ঢাকার বালুর মাঠসংলগ্ন কালশী মোড়ে এক অনুষ্ঠান থেকে উড়ালসড়কটি উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর উড়ালসড়কে যান চলাচল শুরু হয়েছে।
মিরপুর, মিরপুর ডিওএইচএস, পল্লবী, কালশী, মহাখালী, বনানী, উত্তরা ও ঢাকা বিমানবন্দরে যাতায়াতের সুবিধার্থে এ উড়ালসড়ক নির্মাণ করা হয়েছে।
‘ইসিবি চত্বর থেকে মিরপুর পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ, উন্নয়ন ও কালশী মোড়ে ফ্লাইওভার নির্মাণ’ নামের প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে। এর আওতায় কালশী থেকে মাটিকাটার ইসিবি চত্বর যাওয়ার রাস্তাটি আগের চেয়ে প্রশস্ত হয়েছে। ওপর দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে উড়ালসড়ক।
প্রকল্পের তথ্য অনুযায়ী, ৩ দশমিক ৭ কিলোমিটার লম্বা সড়কটি চওড়ায় ১২২ ফুট। লেন রয়েছে ৮টি। এর মধ্যে ২টি লেন অযান্ত্রিক যানবাহনের জন্য। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ১২ কোটি ১১ লাখ টাকা। এটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেড।
প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, উড়ালসড়কটি দেখতে ইংরেজি বর্ণমালা ‘ওয়াই’–এর মতো। মূল চার লেনের উড়ালসড়কটি ইসিবি চত্বর থেকে কালশী ও মিরপুর ডিওএইচএসের দিকে এবং কালশী মোড় থেকে কালশী রোড পর্যন্ত দুই লেনের র্যাম্প (ঢাল) নেমে আসে।
প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে একটি পিসি গার্ডার সেতু সম্প্রসারণ, দুটি ফুটব্রিজ, একটি পাবলিক টয়লেট, দুটি পুলিশ বক্স, একটি ৭ দশমিক ৪০ কিলোমিটার আরসিসি ড্রেন ও সসার ড্রেন, একটি ১ হাজার ৭৫৫ মিটার আরসিসি পাইপ ড্রেন, রিটেইনিং ওয়াল, ৩ হাজার ৩৮৩ মিটার কমিউনিকেশন ডাক্ট, ৮ লাখ লিনিয়ার মিটার বালু কম্প্যাকশন পাইল, পৃথক সাইকেল লেন ও ৬টি বাস-বে (যাত্রী ওঠা-নামার জন্য নির্ধারিত স্থান)।