ঢাকার বেশির ভাগ মানুষই বিত্তবান: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

সিটি রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত নগর সাংবাদিকতায় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তব্য দেন এলজিআরডিমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা ওয়াসার পানিতে ভর্তুকি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে বসবাসরত বেশির ভাগ মানুষই বিত্তবান। রাজধানীতে এলাকাভিত্তিক পানির দাম নির্ধারণ করে বস্তিতে বাস করা নিম্ন আয়ের মানুষকে কম দামে পানি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

আজ শুক্রবার রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তাজুল ইসলাম বলেন, গুলশান-বনানীতে বসবাসকারীরা যে হারে পানির বিল দেন, বস্তিতে থাকা অথবা যাত্রাবাড়ীতে থাকা মানুষ কেন পানির সমান মূল্য পরিশোধ করবেন। গরিব মানুষের কাছ থেকে রাজস্ব আদায় করে সেই টাকা দিয়ে ধনীদের ভর্তুকি দেওয়া নৈতিকভাবে কতটা সমর্থনযোগ্য। গুলশান-বনানী এলাকায় পানির দাম বেশি থাকবে। নিম্ন আয়ের মানুষ বসবাস করে এসব এলাকায় পানির দাম অপেক্ষাকৃত কম থাকবে।

ঢাকা ওয়াসা গত ১৩ বছরে ১৫ বার পানির দাম বাড়িয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে পানির দাম বাড়ানোর বিষয়ে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান বলেন, বর্তমানে প্রতি ১ হাজার লিটার পানিতে সরকার ১০ টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে।

আজ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় মানুষ ভালো আছে। জ্বালানির দাম বাড়ায় খাদ্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে মানুষ অসুবিধায় আছে। সরকার এটি অস্বীকার করছে না। বরং মানুষকে ভালো রাখার জন্য যা যা করা দরকার, সরকার তার সবই করছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাব তাজুল ইসলাম বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশে রাজনৈতিক দলের আন্দোলন করার অধিকার রয়েছে। নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারও তাদের আছে। কিন্তু আন্দোলনের নামে সহিংসতা, জ্বালাও–পোড়াও করবেন, আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটাবেন, রাষ্ট্র তো এটা করতে দেবে না। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব। তারা সে দায়িত্ব পালন করবেই।’

সিটি রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত ‘নগর সাংবাদিকতায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সিটি রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি আদিলুর রহমানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব দীপ আজাদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম প্রমুখ।