ঢাকায় রেস্তোরাঁর সিঁড়ি ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা দেখল পুলিশ

রাজধানীর কিছু রেস্তোরাঁয় রোববার সন্ধ্যায় অভিযান চালায় পুলিশ
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

রাজধানীর গুলশান, ধানমন্ডি, মিরপুর ও উত্তরার প্রায় অর্ধশত রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। রোববার সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এসব খাবারের দোকানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে কয়েকটি রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপক, কর্মীসহ অন্তত ২২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, নগরবাসীর নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে এসব রেস্তোরাঁ–ভবনে জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রয়েছে কি না, তা দেখতেই অভিযান চালানো হয়। ধানমন্ডি এলাকার ১৯টি রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি না থাকা, সিঁড়ি আটকে রান্নাঘর বসানো ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকায় এসব খাবারের দোকানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, অভিযান চালিয়ে কয়েকটি খাবারের দোকানের ব্যবস্থাপকসহ ১৯ জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কয়েকজনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর গুলশান এলাকায় প্রায় ১০টি খাবারের দোকানে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা দেখার চেষ্টা করেছি, খাবারের দোকান থাকা ভবনের জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি রয়েছে কি না। সিঁড়িতে কোনো কিছু রাখা হয়েছে কি না, সেটা দেখছি। দু–একটি ছাড়া সব কটির পরিবেশ ছিল সুন্দর। তাদের ব্যবস্থাপনা দেখে আমরা সন্তুষ্ট।’

উত্তরা এলাকার অন্তত ২০টি রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করার কথা জানিয়েছেন উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক পার্থ প্রতীম। তিনি বলেন, তাঁদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বেইলি রোডে গত বৃহস্পতিবার রাতে আগুনের ঘটনায় ৪৬ জন মারা গেছেন। গ্রিন কোজি কটেজ নামের সাততলা ওই ভবনের একটি তলা ছাড়া বাকি সব কটি তলায় রেস্তোরাঁ ছিল। ওই ভবনে জরুরি বহির্গমন সিঁড়ি না থাকায় আগুন লাগার পর কেউ বের হতে পারেননি। ভবনের সিঁড়িতে রাখা ছিল গ্যাসের সিলিন্ডার।