সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় যানজট থাকলেও তা গতকালের তুলনায় আজ কম। ঢাকা, ১৬ জুন
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় যানজট থাকলেও তা গতকালের তুলনায় আজ কম। ঢাকা, ১৬ জুন

সায়েদাবাদে বাস টার্মিনালে আজও বাড়তি ভাড়া, যানজট

ঈদযাত্রার শেষদিন আজ রোববারও রাজধানীর সায়েদাবাদ আন্তজেলা বাস টার্মিনালে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করলেন যাত্রীরা। গতকালের মতো আজও যানজট রয়েছে, তাবে তা গতকালের তুলনায় কিছুটা কম।

সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে আজ বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে যাত্রীরা টিকিট পাচ্ছেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কথা হয় মাদারীপুরের যাত্রী মো. রফিকের সঙ্গে। তিনি মাদারীপুর যাওয়ার জন্য সার্বিক পরিবহন থেকে ৫০০ টাকায় টিকিট কেটেছেন। রফিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্বাভাবিক সময় ঢাকা থেকে মাদারীপুরের ভাড়া নেয় ৩০০ টাকা। কিন্তু আমার কাছ এখন থেকে নিল ৫০০ টাকা।’

সার্বিক পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মতিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঈদে ঢাকায় বাস ঢুকাইতেই বাড়তি খরচ আছে। তা ছাড়া ফেরার সময় ফাঁকা আসে, সে কারণে ২০০ টাকা বাড়তি রাখা হচ্ছে।’

বাড়তি ভাড়া আদায় হলেও তা গতকালের চেয়ে কিছুটা কম। গতকাল ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৫০০ টাকা রাখা হয়েছে। আজ দেখা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাড়া ৪০০ টাকা করে রাখা হচ্ছে। মো. আল–মামুন তাঁর স্ত্রী, সন্তান ও ভাইকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাচ্ছিলেন। তিনি প্রথম আলোকে বললেন, দুই হাজার টাকায় পাঁচটি টিকিট কেটেছেন।

ঢাকা থেকে বরিশালের নন-এসি বাসের টিকিট গতকাল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা করে রাখা হয়েছে। আজ কিছুটা কমেও যেতে পারছেন যাত্রীরা। সাধারণ সময়ে বরিশালের ভাড়া ৫০০ টাকা। বিএমএফ পরিবহনের একটি বাসে করে হাসান ইমাম নামের এক ব্যক্তি বরিশাল যাচ্ছিলেন। হাসান ইমাম প্রথম আলোকে বলেন, বরিশালের ভাড়া তাঁর কাছ থেকে ৬০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। চাওয়া হয়েছিল ৭০০ টাকা। তে টিকিট পেতে ঝামেলা হয়নি।

সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় বিকেলে যানজট দেখা গেল। বাস কাউন্টারের কর্মীরা ও চালকের সহকারীরা বলছেন, সকালের তুলনায় বিকেলে যানজট কিছুটা কম। তবে সায়েদাবাদ থেকে ধোলাইপাড় পার হতে এক থেকে দেড় ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে। ঢাকার ফেরার পথেও যানজট রয়েছে।